Breaking News

‘বাজে’ খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ভুগছেন পার্থ! এখনও কাটেনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সংকট

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সংকট এখনও কাটেনি। সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অক্সিজেন সাপোর্টের ট্রায়ালে রাখতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কিডনি ও ফুসফুসে সমস্যা ছিল-ই। ক্রিয়েটিনিন, পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের মাত্রাতে গোলমাল দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শারীরিক যা অবস্থা তার জন্য তাঁর খাদ্যাভ্যাসই দায়ী।চিকিৎসকদের মতে, বাজে খাদ্যাভ্যাসের জেরেই ভয়ানক ভুগছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রতিনিধিদের মত সেরকমই। কদিন আগে মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা এখন যা তাতে সংকটমুক্ত বলা যায় না। ফুসফুসে সংক্রমণ থাকার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি। রক্তাল্পতার সমস্যাও ধরা পড়েছে। এখন মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল তবে সংকটমুক্ত নন। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি। উল্লেখ্য, রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়েই এসএসকেম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আইটিইউ ৬ নম্বর বেডে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় |বেসরকারি হাসপাতালে পার্থের চিকিৎসা চলছে। তাই খুব যত্ন সহকারে সবটা দেখা হচ্ছে। এই বেসরকারি হাসপাতালেই পার্থের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌরেন পাঁজার নেতৃত্বে এই মেডিকেল টিমে রয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অনুপ খৈতান এবং নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ প্রতীক দাস।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি, পরে সিবিআই। সেই থেকে এখনও জেলবন্দি আছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। বার বার জামিনের আবেদন করলেও, তা খারিজ হয়ে যায়। এরমধ্যে ২০ জানুয়ারি জেলে-ই অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থ। তারপরই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু এসএসকেএম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসা পছন্দ হয়নি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *