প্রসেনজিৎ ধর:- দত্তপুকুর থানা এলাকার ছোট জাগুলিয়ায় যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। মৃতের হাতে উল্কি দেখে তাঁকে সনাক্ত করেছে পরিবার। ঘটনায় অভিযুক্তের খুড়তুতো ভাই ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পরকীয়া সম্পর্ক ও চুরির মালের বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন।জানা গিয়েছে, গাইঘাটার আঙুলটাকা গ্রামের বাসিন্দা হজরত লস্কর। মূলত চুরি-ছিনতাই করত সে। সঙ্গী ছিল তারই ভাই অর্থাৎ ধৃত ওবাইদুল্লা গাজি। একাধিক থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। মাদক পাচার মামলায় গ্রেপ্তারও হয় হজরত।পরবর্তীতে উত্তরপাড়ার থানার এক অফিসারের সহযোগিতায় অপরাধ জগৎ থেকে সরে আসে হজরত। এখানেই শেষ নয়, দলের বেশ কয়েকজনকে হজরত পুলিশের হাতেও তুলে দেয়। তবে কি সেই ক্ষোভেই খুন? নাকি নেপথ্যে পরকীয়া, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ধৃতদের জেরা করলে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনো যাবে বলেই আশাবাদী পুলিশ|পুলিশের দাবি, ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের পরেও হজরতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পূজার। সেই আক্রোশ থেকেই হজরতকে খুন করেছে ওবাইদুল। তবে এই খুনের পিছনে টাকা পয়সার বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদ থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিকের সহযোগিতায় সমাজের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন হজরত। তার জেরেই কি অন্য দুষ্কৃতীদের আক্রোশের মুখে পড়লেন তিনি। নিহতের পরিজনরা প্রাথমিকভাবে দেহ সনাক্ত করেছেন। তবে মৃতের দেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। তাদের জেরা করে খুনের আসল কারণ জানতে চান তদন্তকারীরা।উল্লেখ্য, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের ছোট মালিয়াকুর ও জাগুলিয়ার বাজিতপুরের মধ্যবর্তী চাষের জমিতে এক যুবকের নগ্ন দেহ পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও দু’দিনে ওই কাটা মুণ্ড উদ্ধার করতে পারেনি। শেষমেশ নিখোঁজ ডায়েরির সূত্র ধরেই হাতের ট্যাটু দেখিয়ে নিহতের পরিচয় জানা যায়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal