প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বক্সা সংরক্ষিত ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় থাকা হোমস্টেগুলি নিয়ে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সবিস্তার তথ্য চেয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যকে এই বিষয়ে যথাযথ তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন তিনি। পদ্ধতিগত জটিলতার কারণের অব্যাহতি বলে জানা গিয়েছে। জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর ও বাফার এলাকায় থাকা রিসর্ট, হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধের মামলা থেকেও সরে দাঁড়ালেন তিনি। এক্ষেত্রেও রাজ্যের আর্জি মেনে হাই কোর্টের বদলে সার্কিট বেঞ্চে মামলাগুলো চালানোর যুক্তি মেনেই অব্যবহতি নেন বিচারপতি। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে এতদিন পর হঠাৎ রাজ্য এই মামলা হাই কোর্ট থেকে কেন সরানোর দাবি জানাল?বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ছিল বক্সা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনিও সার্কিট বেঞ্চ প্রসঙ্গ তোলেন। সার্কিট বেঞ্চের আইন তুলে ধরেন। এরপরই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবিষয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, “জায়গা নয়, বিচারপতি গুরুত্বপূর্ণ।”চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, ‘বাঘ সংরক্ষণের জঙ্গল কীভাবে রাজ্যের একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেভিনিউ ভিলেজ তৈরি হল?এক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান কী?রাজ্য কীসের ভিত্তিতে ওই বনাঞ্চলের ভিতরের গ্রামগুলিকে রেভিনিউ ভিলেজ হিসেবে ঘোষণা করল? এমন ঘোষণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইনই বা কী?’এদিকে মামলার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ‘পার্ট হার্ড’ বা অসম্পূর্ণ মামলা কলকাতায় বসে করতে পারেন না বিচারপতি। ২০১৯ সালের সার্কিট বেঞ্চ রুলে ৫ নং ধারার পরিপন্থী কাজ হচ্ছে। তারপরই কার্যত মামলা থেকে অব্যাহতি নিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
