নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :-দিঘায় যখন জগন্নাথধামের উদ্বোধনী প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করার আয়োজনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যখন সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন, তখন ওই সম্মেলন নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের আবেদন, দ্রুত শুনানি করা হোক।
বুধবার শুনানির সময়ে বিচারপতি সৌমেন সেন রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের কি করণীয়?” রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, “আদালত যদি অনুমতি দিতে পারে, আদালত বন্ধ করতে পারে না? পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আদালত মঙ্গলবারই কেন মামলার শুনানি করেনি?”রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় সওয়াল করেন, “মামলাকারীরা যখন রাত ৯ টাতেও প্রধান বিচারপতির কাছে মামলার শুনানির জন্য যান, তখন দ্রুততার সঙ্গে সময় – দিন ধার্য করে দেওয়া হয়। আর রাজ্য চাইলেই হয় না।” তিনি আরও বলেন, “যেভাবে প্রশাসনিকভাবে প্রধান বিচারপতি এবং আদালতের প্রশাসনের দ্বারা রাজ্যকে হয়রান হতে হল, সেটা আমাদের জন্য ঠিক নয়।”তখন বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ আনেন, তাহলে এই মামলা আমি শুনব না।” মামলাকারীর তরফ থেকে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধী দলনেতার হয়ে আমি এই মামলা করছি না। এই মামলায় রাজ্য তাকেই বারবার কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। আর কিছুক্ষণের মানুষেরা চলেও যাবেন।”
বিচারপতি সৌমেন সেনের পর্যবেক্ষণ, “আইন – শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের দ্বায়িত্ব। ফলে পুলিশ যদি পরিস্থিতি বিচার করে বলে, যে কোন অনুষ্ঠান নির্ধারিত দিনে না করে অন্যদিন করতে, তাহলে সেই অধিকার তাদের আছে।”প্রসঙ্গত, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনই কাঁথিতে মহা সনাতনী কর্মসূচির ডাক দেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal