দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণকে ‘সম্মান’ জানিয়ে দিঘার জগন্নাথধাম পৌঁছোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ দিঘায় জগন্নাথধামের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন করেছেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সেই মন্দিরে পৌঁছেছেন দিলীপ ঘোষ |মন্দির চত্বরে এদিন দম্পতিকে উত্তরীয় পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার রাতেই দিলীপ জানিয়েছিলেন যে, বুধবার সময় পেলে তিনি দিঘার জগন্নাথধামে যাবেন। হাওড়ার শ্যামপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও বুধবার তাঁর আমন্ত্রণ ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শ্যামপুরের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পরে যদি সময় পাই, তা হলে দিঘা যাব। মুখ্যসচিব চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’’ তবে শেষ পর্যন্ত সেই ‘সময় পাওয়া’ দিলীপের হয়ে উঠবে কি না, তা দুপুর পর্যন্তও স্পষ্ট ছিল না। শ্যামপুরের অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর পরে স্পষ্ট হয় যে তিনি দিঘা যাচ্ছেন।রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির কথায়, ‘‘অক্ষয়তৃতীয়ার দিন একটা শুভ দিন। এই দিনে আমরা পূজার্চনা, ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েই থাকি। এ রকম একটা দিনে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। সেখানে আমাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। কেন যাব না?’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই কর্মকাণ্ডের মধ্যে ‘হিন্দু জাগরণে’র প্রয়াসও দেখছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে হিন্দু জাগরণের অনেক কর্মসূচি থাকে। মন্দির প্রতিষ্ঠাও তো হিন্দু জাগরণেরই কাজ।’’ তার পরেই স্বভাবসিদ্ধ রসবোধে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘ভগবান আমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাড়ে তিনশো কিলোমিটার চলে এসেছেন। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দুশো কিলোমিটার যেতে পারব না!’’বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক যে সময়ে দিঘায় পৌঁছেছিলেন সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দির চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে পরবর্তী সময়ে মন্দির চত্বরের অতিথিশালায় মমতা-দিলীপ আলাপচারিতা হয়। রাজ্য সরকারের তরফে একা দিলীপ ঘোষকে নয়, মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। কিন্তু দিলীপ বাদে বিজেপির কেউ যাননি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal