Breaking News

বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! তদন্তে কমিটি গড়ল রাজ্য, মৃত বেড়ে ১৫

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, আহতদের পরিবার পিছু দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। পাশাপাশি পুলিশ, দমকল, প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মেছুয়ার হোটেলে কীভাবে আগুন লাগল? সত্যিই কি দমকলের ছাড়পত্র ছিল না হোটেলটির? প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই তৈরি হচ্ছিল বার? সব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে পুর কমিশনারের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছে কমিটি। জানালেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। সকলের নাম-পরিচয় জানা গিয়েছে বলেই খবর।বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা লিখেছেন, ‘বড়বাজারে ঋতুরাজ হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে পীড়িতদের জন্য আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমি সারারাত উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করেছি ও যথাসম্ভব দমকলের গাড়ি সেখানে পাঠাতে বলেছি। তার পরেও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কারণ সেখানে দাহ্য বস্তু মজুত ছিল। আমি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। আক্রান্তদের পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই।’

দমকলের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, তারা প্রায় ৯৯ জনকে ওই হোটেল থেকে বার করে আনতে পেরেছেন। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি শ্বাসরোধ হয়ে ও লাফ দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে। এর আগে এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরুর চেষ্টা করেন কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, হোটেলে কমপক্ষে ৪২ টি ঘর ছিল। অধিকাংশতেই ছিল না জানলা। ফলে ধোঁয়ায় বাড়ে বিপত্তি। একদিকে ভিতরে থাকা আবাসিকরা আটকে পড়েন। অন্যদিকে, দমকলকর্মীদের ভিতরে প্রবেশে হিমশিম দশা হয়। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *