Breaking News

‘কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছি তাই গর্ত থেকে সাপখোপ বেরিয়ে পড়ছে’,দলীয় নেতৃত্বের একাংশের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব দিলীপ ঘোষ!

নিজস্ব সংবাদদাতা :-দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই বিতর্কে দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষকে ‘গো ব্যাক স্লোগান’ দেয় বিজেপি কর্মীরা। দীঘা থেকে ফেরার পথে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। ‘কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছি তাই গর্ত থেকে সাপখোপ বেরিয়ে পড়ছে’। মমতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর দিলীপ ঘোষের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপির ছোট বড় নেতারা। আর তাদের পালটা চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এরাই বিজেপির বোঝা এখন। এদের বইতে গিয়েই আমাদের কর্মীদের কোমর ভেঙে যাচ্ছে। আমি আজও একজন সাধারণ কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করছি। এটা হজম হবে না কারও। যারা পার্টিকে ব্যবসা হিসাবে নিয়েছে তারা বিজেপি বুঝতে পারবে না। পার্টি যখন ছোট ছিল কেউ আসেনি। পার্টি ছোট হোক বড় হোক, জিতুক বা হারুক, দিলীপ ঘোষ আছে। তার পুরনো কর্মীরা আছে। যারা ডজন ডজন কেস খেয়েছে। আমিও ডজন ডজন কেস খেয়েছি। কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। রোজ গাড়ি ভাঙা হয়েছে। মার খেয়েছি। বাকিদের গায়ে চোট লাগেনি, একটা কেসও খায়নি। বিজেপিটা কষ্ট করে বুঝতে হয়।’বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘কিছু লোক আছে পার্টিকে কব্জা করতে এসেছে। নতুন নতুন বিজেপি হয়েছে তারা একটু ঝামেলা করার চেষ্টা করে। এটা হবে না। আমরা রক্ত দিয়ে ঘাম দিয়ে পার্টি দাঁড় করিয়েছি। লক্ষ লক্ষ কর্মী বাড়িতে বসে আছে। এরাই কাজ করতে দিচ্ছে না। হঠাৎ বিজেপি যারা, হঠাৎ এসেছে, হঠাৎ যাবে। আমি গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে দিয়েছি, তাই সাপ কোপ ব্যাং সব বেরিয়ে পড়েছে। ওপরটা গেরুয়া, একটু আঁচড়ে দিন দেখবেন সবুজ বেরোবে।’দলবদলকারী নেতাদের তাঁর কটাক্ষ, ‘যখন দরকার হয় টিকিট নিতে এদিকে আসেন। সম্পত্তি, কারখানা বাঁচাতে আবার ওদিকে চলে যান। দিলীপ ঘোষ কখনও পিঠ দেখায়নি। বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা ছিল। ওরা পিছনের দিকে লড়াই করেছে, পয়সা কামিয়েছে। যখন অসুবিধা হয়েছে বিজেপিতে এসে গিয়েছে। আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন। পার্টি আপনাদের সব দিয়েছে। আপনারা বিজেপিকে কী দিয়েছেন?’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *