দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-এক বিধবা তরুণীর সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিয়ে দিলেন থানার ‘বড়বাবু’। নিজের উদ্যোগেই করলেন সমস্ত ব্যবস্থাপনা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার চাপড়া থানায়। প্রায় চার বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামীকে হারান মামনি ঘোষ নামে এক তরুণী। তাঁর একটি নাবালক ছেলেও রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে অথৈ জলে পড়েন ওই তরুণী। কোনও মতে চালাচ্ছিলেন সংসার। সঙ্গে ছিল ছেলেকে মানুষ করার বিরাট দায়িত্ব। তাছাড়া, মামনির বয়সও কম। অকালে স্বামীকে হারানোর পর তাঁর নিজের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে যায়।একদিন মামনিকে ডেকে তিনি কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। পরামর্শ দেন আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে। মামনি রাজি হলেও পাত্র কোথায় | আইসির মনে পড়ে থানার আরেক দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার রথীন হালদারের কথা। মা-বাবা দুজন মারা যাওয়ার পর ছেলেটিও একা। তাই মনে মনে আইসি অনিন্দ্য ভাবতে থাকেন তার সঙ্গে মামুনির বিয়ে দিলে কেমন হয়? অস্বস্তি নিয়েই রথীনকে কথাটা বলেন আইসি। রথীনও রাজি হয়ে যায়। শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। চাপরা থানাতেই রেজিস্ট্রি করে মামনি-রথীনের আইনি বিয়ে দেওয়া হয়। দুজনের বিয়ের খরচ ভাগ করে নেন থানার পুলিশ কর্মীরা। রীতিমতো অতিথি আপ্যায়ন করে পাত পেড়ে খাওয়ানো হয়।থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে মামনি যেমন নতুন সংসার পেলেন, তেমনই রথীনও তাঁর জীবনসাথীকে পেলেন। সকলেরই আশা, আগামী দিনে এই পরিবারটি সুখে শান্তিতে থাকবে।
