দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সভা হল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। এই বৈঠক থেকেই বিধানসভার লক্ষ্যে দলের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ থেকে শুরু করে গোষ্ঠীকোন্দল যাতে না হয় সেই বার্তাও অনুব্রত মণ্ডলকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজল শেখকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই কমিটি থেকে বীরভূ্মকে দূরে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই সংক্রান্ত কমিটির কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “বীরভূমকে রাখিনি, কারণ ওদের কোর কমিটি রয়েছে। ওরা ওদের মতো করে করবে।” এরপরই অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশে মমতা বলেন, “কেষ্ট কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকেও নিতে হবে। আশিসদা আর শতাব্দীকে ডেকে নেবে।” মাথা নেড়ে সম্মতি জানান অনুব্রত। যা দেখে দলের একাংশের অভিমত, কেষ্টতেই ভরসা রাখছেন দলনেত্রী।এদিকে মাঝে মধ্যেই জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে অনুব্রতর অনুগামীদের সংঘর্ষের অভিযোগও ওঠে। সে কারণেই দলনেত্রী এ বিষয়ে কেষ্টকে সতর্কও করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি |পঞ্জাব–হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে। দিল্লি থেকে সবটা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই করা হচ্ছে। কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দফতরে ধরনা দেব। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। দু’তিন বছরের মধ্যেই ওদের আয়ু শেষ।’
