দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- বাম জমানায় জারি হওয়া ১০০টি ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ওই ১০০টি ডেথ সার্টিফিকেটের কোনও তথ্য নেই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। মামলাকারীর দাবি, এই ডেথ সার্টিফিকেটগুলি ব্যবহার করে হাতিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে কয়েকশ কোটি টাকা দামের জমি। ওদিকে আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধানের দাবি, ঘটনা যখন ঘটেছে তখন পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে ছিল। এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই তাঁর।সূত্রের খবর, বাগডোগরায় মাধব চন্দ্র মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন ২০০০ সালে। তার জমির উত্তরাধিকার নিয়ে মামলা হয় ২০১৩ সাল নাগাদ। মামলা করেন রেখা পাল নামে এক মহিলা। মামলা শুরু হতেই নানা তথ্য জমা পড়ে আদালতে। সেখানেই জমা পড়েছিল একটি ডেথ সার্টিফিকেট। তাতে দেখা যাচ্ছে মাধবের মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৮ সালে। কিন্তু, এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় বাস্তবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ২০০০ সালে। এদিকে ডেথ সার্টিফিকেটে সই পয়েছে বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রবীর রায়ের। তাতেই সন্দেহ বাড়ে রেখা পালের। এরপরই তথ্য জানার অধিকার আইনে সত্যি খোঁজার চেষ্টা করেন রেখা পাল এবং স্থানীয় এক সমাজসেবী গৌতম কির্তনিয়া। স্বাস্থ্য দফতর সহ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকরণ দফতরের দ্বারস্থ হন। কিন্তু জানানো ওই নির্দিষ্ট সার্টিফিকেটের নম্বরের কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই। সেই মামলায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ১০০টি ডেথ সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। তবে গৌতমবাবুর আশঙ্কা, এরকম আরও ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট রয়েছে। যে ডেথ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে আত্মসাৎ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার জমি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal