প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- যাদবপুর কাণ্ডের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। রবিবার ফের গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন, গোটা ঘটনায় তাঁর গাড়ির চালক ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আহত ছাত্রের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি। যদিও যেভাবে অধ্যাপকদের উপর অত্যাচার হয়েছে, সেটাও কাম্য নয় বলেই মন্তব্য ব্রাত্য বসুর।শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিয়ন নির্বাচনের দাবিতে গন্ডগোল চলার সময়ে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগ, তাঁর গাড়ির চাকার তলায় চাপা পড়েছেন যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ।এই নিয়েই দুঃখপ্রকাশ করেন ব্রাত্য। তবে একই সঙ্গে বলেন, ‘কিন্তু যে ভাবে ছাত্ররা প্রফেসরকে মারধর করেছে, এটা কাম্য নয়। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও আমার ওপর আক্রমণ করা হয়, গাড়িতে রীতিমতো হামলা চলে। এটা কীভাবে হয়? ছাত্ররা অধ্যাপককে মারছেন?’এদিন ব্রাত্য আরও বলেন, ‘প্রায় ৪০-৫০ জন ছাত্রের একটা গ্রুপ ছিল, ওই চত্বরে বিশৃঙ্খলা করছিল। আমি ওদের জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে? ওরা জানায়, নির্বাচনের দাবিতে ডেপুটেশন দিতে চায়। আমি সে কথা শুনতে চাই। কারণ এটা আমাদের মাথায় আছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডেপুটেশন গ্রহণ করি, এসএফআইয়ের ডেপুটেশনও গ্রহণ করি। বাকিদেরও দিতে বলি। অধ্যাপকরাও তাই বলেন।’
ব্রাত্যর অভিযোগ, ‘ওরা জানায়, আমায় বাইরে বেরিয়ে ওদের কথা শুনতে হবে, ওরা দিতে আসবে না ডেপুটেশন। আমি বাইরে বেরিয়ে বলি, চারজন এসো, বক্তব্য শুনব। ওরা বলে, না, চল্লিশ জনের সঙ্গেই কথা বলতে হবে। আমি বলি, এটা নিয়ম নয়। চার জন আসুক। ওরা পাল্টা জোর করে আমায়, না, ওখানেই নিতে হবে, সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি তার পরেও বলি, ডেপুটেশন আমি নেব, কথা বলতেই আমি চাই। বিকাশ ভবনে আসারও প্রস্তাব দিই। ওরা তাতেও রাজি হয়নি। ওরা অনড়, চল্লিশ জনের সঙ্গেই ওখানেই কথা বলতে হবে।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal