দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতায় পৌঁছলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। আগামী কয়েকদিন ধরে ফরাক্কা পরিদর্শনের পাশাপাশি ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে রয়েছে বৈঠক। বাংলাদেশ থেকে মূলত রিভার এক্সপার্ট বা নদী বিশেষজ্ঞরা এসেছেন বাংলায়। গঙ্গার জল সংক্রান্ত চুক্তি শেষ হতে চলেছে ২০২৬-এর ডিসেম্বরে। তার আগেই এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গে এলেন ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ আবুল হোসেন। দীর্ঘদিন যাবৎ গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমান সফরে সেই জলবণ্টন চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনেও যাচ্ছে ওপারের প্রতিনিধিদল।ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। দুই দেশ একটি নির্দিষ্ট কাঠামোয় গঙ্গার জল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিল। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে ওই চুক্তি শেষ হচ্ছে। চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আগে তা পর্যালোচনা ও সংশোধন হতে পারে। উল্লেখ্য, গত ২৬ বছরে একাধিক বার বাংলাদেশ অভিযোগ করেছে যে গ্রীষ্মের মরশুমে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা পর্যাপ্ত জল পায় না। যদিও ভারতের তরফে দাবি করা হয়, জলপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে জলের পরিমাণ কমবেশি হয়ে থাকে। বর্তমান সফরে এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এই নদী চুক্তি হয় ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এইচডি দেব গৌড়া ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪-এ এই চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথা বলেছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেই সময় অসন্তোষ প্রকাশ করে মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন এই চুক্তির প্রভাব রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
