Breaking News

আজব কাণ্ড হুগলিতে!আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হয়েও অ্যালোপ্যাথির চিকিৎসা, হাতেনাতে ধরা পড়লেন চিকিৎসক

ইন্দ্রজিৎ মল্লিক, হুগলি:- তিনি আসলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, কিন্তু চেম্বার খুলে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করার অভিযোগ হুগলির এক চিকিৎকের বিরুদ্ধে। হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। এলাকার একটি ওষুধের দোকানে দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারে বসে রোগী দেখতেন নিতাই সেনাপতি। নিজেকে এমডি পরিচয় দিয়ে অ্যালোপ্যাথি ওষুধও লিখে দিতেন। রোগী প্রতি ৪০০ টাকা করে ভিজিট নিতেন তিনি। তবে প্রেসক্রিপশন নিয়ে একটা সন্দেহ ছিলই। অবশেষে এত বছর সামনে এল সত্যিটা।

পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ নিশাপতি রক্ষিত বলেন, “আসলে উনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। ৪০০ টাকা করে ভিজিট নিতেন। দেড়’শ টাকার ওষুধ দিতেন। উনি বেআইনিভাবে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছিলেন। পরে ওঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা আমরা ভাবছি। প্রয়োজনে থানায় অভিযোগও করা হতে পারে। কারণ বহু মানুষকে ঠকিয়েছেন উনি।”তবে নিতাই সেনাপতি নামে ওই চিকিৎসকের দাবি, নিয়মের বাইরে তিনি কিছু করেননি। তিনি বলেন, “আমার যা যা কাগজ ছিল তা দেখিয়েছি। আমি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাই করব।” একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হয়ে কেন দিনের পর দিন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক বলেন, “আমাদের কাউন্সিলের নির্দেশ আছে ৬৭ টা ওষুধ লেখা যায়।”

সোমবার পাণ্ডুয়ার বিএমওএইচ পাণ্ডুয়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষকে নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে হাজির হন। চিকিৎসককে সব কাগজ নিয়ে পাণ্ডুয়া ব্লক অফিসে দেখা করতে বলেন। সেই মতো সোমবার রাতে চেম্বার শেষ করে ব্লক অফিসে গিয়ে দেখা করেন নিতাই। কাগজপত্র দেখে ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চিত হয় যে আদতে ওই ব্যক্তি একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক । তা সত্ত্বেও ‘এমডি’ লিখে দিনের পর দিন অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দিয়ে যাচ্ছিলেন নিতাই। এরপর চিকিৎসককে মুচলেকা দিতে বলা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি আর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করবেন না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *