প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-বুধবার রাত আটটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল কাশ্মীরে নিহত কলকাতার দুই পর্যটক বেহালার সখের বাজারের সমীর গুহ এবং পাটুলির বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারীর কফিন বন্দি দেহ। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তমলুকের বিজেপি সাংসদ অগ্নিমিত্রা পলরা |সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন কফিনবন্দি বিতান এবং সমীর। অন্যদিকে রাঁচি হয়ে পুরুলিয়ার বাড়ির ফিরবেন আরেক নিহতের দেহ।পাটুলির বিতানও স্ত্রী সোহিনী এবং সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরেও বাড়িতে ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। কিন্তু তার কিছু সময় পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। সোহিনীর সামনেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন বিতান। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর দেহও ফিরেছে কলকাতায়। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরে বিতানের স্ত্রী সোহিনী সন্তানকে দেখিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “ওর চোখের সামনে ওর বাবাকে মেরেছে।”বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর কয়েক দিন আগেই পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বুধবারই ফেরার কথা ছিল তাঁদের। ফিরলেনও। কিন্তু স্বামীকে কফিনবন্দি অবস্থায় নিয়ে ফিরতে হল তাঁর স্ত্রী শবরীকে। মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সমীরকে নির্বিচারের গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা।
পুরুলিয়ার ঝালদার মণীশরঞ্জন কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকতেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবিতে কাজ করতেন তিনি। আগে থাকতেন রাঁচীতে। সেখান থেকেই সম্প্রতি বদলি হয়ে যান হায়দরাবাদে। সেখান থেকেই গত ১৫ এপ্রিল পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণে বেরোন মণীশ। বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কলকাতার দুই বাসিন্দার দেহ নিয়ে বিমান পৌঁছানোর কথা ছিল দমদম বিমানবন্দরে। তবে সময়ের কিছু আগেই বিমান পৌঁছে যায় দমদম বিমানবন্দরে। বিতান এবং সমীরের দেহ বিমানবন্দর থেকে তাঁদের দেহ বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal