Breaking News

সন্ত্রাস আতঙ্কে ফের কাশ্মীরে ‘না’ পর্যটকদের!আসছে পর পর ফোন, ক্ষতির শঙ্কায় কলকাতার পর্যটন ব্যবসা

নিজস্ব সংবাদদাতা:- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার জেরে এবার গ্রীষ্মকালীন কাশ্মীর পর্যটনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। আগামী কয়েকদিনের মধ্য়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর পর্যটকের কাশ্মীর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতিতে একাধিক ট্যুর অপারেটর আগামী কয়েকদিনের ট্যুর প্রোগ্রাম বাতিল করে দিচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যে ভ্রমণ সংস্থাগুলির কাছে ফোন আসতে শুরু করেছে। কেউ কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছেন, কেউ সরাসরি ভ্রমণের পরিকল্পনাই বাতিল করে দিতে চাইছেন। অনেকে আবার কাশ্মীর বাতিল করে হিমাচল প্রদেশে বুকিং পরিবর্তনের অনুরোধ করছেন। ফলে ভ্রমণ সংস্থাগুলির আশঙ্কা, সারা বছর ধরে কাশ্মীর থেকে তাঁদের যে পরিমাণ ব্যবসা হত, তাতে এবার মন্দা আসবে। ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে কাশ্মীরের পর্যটন, যা নিয়ে চিন্তায় কলকাতার সংস্থাগুলিও। মাঝে একটা সময় ছিল জঙ্গি হামলার আতঙ্কে কাশ্মীরে যেতে ভয় পেতেন সাধারণ পর্যটকরা। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বাতিল হতে শুরু করে। এসবের মধ্যেই ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা রদ হয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে থাকে কাশ্মীরে। বিভিন্ন ট্যুর এজেন্সি সূত্রে খবর, এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত কাশ্মীর ভ্রমণের প্রতি পর্যটকদের একটা আকর্ষণ থাকে। এরপর থেকে অমরনাথ যাত্রায় যেতে চান অনেকেই।কিন্তু মঙ্গলবার কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর থেকেই সব কিছু যেন ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অশান্তি, জঙ্গি হামলা এবং সীমান্তে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর প্রায়ই আসে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাশ্মীর বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে। প্রতি বছর বহু মানুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে, এমনকি বিদেশ থেকেও ভূস্বর্গ ভ্রমণে যান। তবে মঙ্গলবারের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, আগামী দিনে কাশ্মীরের পর্যটন একেবারে বন্ধ না-হলেও তার ধরনে কিছু পরিবর্তন আসবে। অনেকেই একা বা শুধু পরিবারের সঙ্গে সেখানে যাওয়ার আর সাহস পাবেন না। এক ভ্রমণ সংস্থার কর্তা বাচ্চু চৌধুরী বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ৯৫ শতাংশ বাঙালি যান না। তবে নামটা যেহেতু পহেলগাঁও, অনেকেই ও দিকে যেতে এখন ভয় পাচ্ছেন। মঙ্গলবারের ঘটনার পর ওখানে অনেক কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এবং সরকারের তরফে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেনা নেমেছে। কপ্টার ঘুরছে। ফলে কাশ্মীরে এখন ভয়ের আবহ রয়েছে। ওখানকার পরিবেশ এখন পর্যটন-সহায়ক নয়। অনেকেই পরিস্থিতি জানতে চেয়ে আমাদের ফোন করছেন, নানা রকম প্রশ্ন করছেন।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *