দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল দাদুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সকাল থেকেই বারাসত তপ্ত। এবার ঘটনায় সেই অভিযুক্ত প্রবীণের দেহ মিলল রেল লাইনের ধারে। পুলিশের অনুমান, লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেশন থেকে বনগাঁগামী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই প্রবীণ। প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে তাঁর দেহ। ক্ষতবিক্ষত দেহটি দেখে তখন চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জিআরপির তরফে জানানো হয় দেহটি বারাসতের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রবীণের। দেহ ইতিমধ্যেই বারাসত মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।জানা গিয়েছে, বুধবার ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকার নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বিকেলে নাবালিকার মা বাড়ি ফিরলে শিশুটি তাঁকে ঘটনার কথা জানায়। এর পর পুলিশে শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বউমা। ওদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিখোঁজ হয়ে যান বৃদ্ধ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁর সন্ধান শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে বারাসত ও হৃদয়পুর স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ধারে এক প্রৌঢ়ের দেহ দেখতে পাওয়া যায়। ক্ষতবিক্ষত দেহটি প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, দেহটি অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের। দুপুরে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। নাবালিকার মা গিয়েছিলেন কাজে। ঠাকুমা গিয়েছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আনতে। নাবালিকা অভিযোগ করেছে, ফাঁকা বাড়িতে তাঁকে জামা খুলে আদর করেন ঠাকুরদা। বিকেলে এই অভিযোগ শুনে অবাক হয়ে যান ঠাকুমা। তিনি বলেন, নাতনিকে উনি খুব ভালোবাসেন। খারাপ কিছু করেছেন বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে করে থাকলে যেন শাস্তি হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal