দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বিরোধী দলের বিধায়কদের হট্টগোলকে কেন্দ্র করে সোমবার তুলকালাম কাণ্ড রাজ্য বিধানসভায়। সাসপেন্ড করা হলো বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে। একই সঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মার্শাল দিয়ে বের করা হলো বিজেপি-র অন্য দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মনোজ ওঁরাওকে।এদিন বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ তখনই তাঁর বক্তব্যকে অপ্রাসঙ্গিক বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ৷ এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়৷ হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার৷ অধ্যক্ষের এই আচরণের প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ বিক্ষোভ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ এবং শঙ্কর ঘোষকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্শালদের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ৷অধ্যক্ষের এই পদক্ষেপে শংকরবাবু ও মনোজবাবুর সঙ্গে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন অন্য বিজেপি বিধায়করাও। বিধানসভা চত্বরে নথি ছিঁড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শংকর ঘোষ বলেন, ‘মাঠে বিরোধী দলনেতাসহ বিরোধী প্লেয়ার থাকা চলবে না। তাই খালি মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে খেলতে পারেন তাই রেফারি ম্যানেজ করে বিরোধী দলনেতা আমিসহ অন্যদের সাসপেন্ড করা, মাইক বন্ধ করে দেওয়া, মার্শাল দিয়ে বার করে দেওয়া হচ্ছে। এরাজ্যে বিধানসভার বাইরের গণতন্ত্র ও ভিতরের গণতন্ত্রের একই অবস্থা। এরাজ্যে গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে। গুন্ডা, মার্শাল দিয়ে রাজ্য চালাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal