নিজস্ব সংবাদদাতা :- পড়াতে গিয়ে চার বছরের খুদেকে ট্রলিতে ভরে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন ওই গৃহশিক্ষক-সহ মোট পাঁচ জন। শনিবার এই ঘটনায় শোরগোল এলাকায়।নন্দীগ্রাম এক ব্লকের শিমুলকুন্ডু গ্ৰামে ট্রলি ব্যাগে শিশুপুত্রকে বন্দি করে চুরির ছক কষা হয়। এদিকে এই শিশুপুত্রের পরিবারের বাবা, মা এবং ৯ বছরের দিদি আছে। ওই শিশুপুত্র অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। বিশেষ আওয়াজ এমনিই পাওয়া যায় না। তার উপর তাকে ট্রলি বন্দি করে রাখার জেরে আরও আওয়াজ মেলেনি। ওই শিশুর বাবার চায়ের দোকান আছে। আর তার মা রুটি ফেরি করে গ্ৰামে গ্ৰামে ঘুরে। প্রত্যেকদিন সকালের মতো শুক্রবারও বাবা–মা ব্যবসার কাজে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর শিশুটির দিদির টিউশন মাস্টার পড়াতে চলে আসে খুব ভোরে। গোটা ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। ৯ বছরের মেয়েটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে ওই শিক্ষক। তারপর চার বছরের বাচ্চার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পরে এই ঘটনার কথা এলাকায় জানাজানি হতেই শিশুটির দিদি চুরির কথা বলে দেয়।অন্যদিকে চারদিকে গোটা ঘটনা চাউর হয়ে যেতেই নন্দীগ্রাম দুই ব্লকের ঘোল পুকুর এলাকায় শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। এই অভিযোগের কথা থানায় দায়ের হতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর রাস্তা থেকেই শিশুপুত্রকে উদ্ধার করে। তখন থেকে লাগাতার তল্লাশি চালানো হয়। তারপর গৃহশিক্ষক–সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুটিকে নেশার দ্রব্য দিয়ে নিস্তেজ করে ফেলা হয়েছিল। আর যাতে মরে না যায় তার জন্য ট্রলির চেন খুলে রেখেছিল অভিযুক্তরা। এই শিশুকে বিক্রি করার ছক কষা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে গৃহশিক্ষকের মা, স্ত্রী জড়িত। পাঁচজন সদস্যের মধ্যে একজন নার্সিং ছাত্রীও ছিল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal