প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- চাকরি হারানোর প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানে গিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কসবার ডিআই অফিসেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা গিয়েছিলেন বাকি জায়গার মতো। আর সেখানেই পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করল চাকরিহারাদের ওপরে। এমনকী শিক্ষিকাদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কসবায় আজ চাকরিহারাদের বাধা দিতে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছিল। সেই ব্যারিকেড টপকে ডিআই অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষকরা। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। সেই সময় চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ হয়েছে।এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী শিক্ষক এবং পুলিশকর্মীও আহত হন৷ নিরীহ শিক্ষকদের পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে৷এই ঘটনার পরই চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে৷ রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও৷ মুখ্যসচিব বলেন, পুলিশ ব্যক্তিগত ভাবে কারও উপরে আঘাত করে থাকলে তো ব্যবস্থা নিতেই হবে।কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা বলেন, ‘ওখানে ডিআই অফিসে ঢুকে তালা ভাঙচুর করে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে। পুরো ফুটেজটা আমরা খতিয়ে দেখছি। ওই ছবির একটা পার্ট দেখানো হচ্ছে। আর একটা পার্ট দেখানো হচ্ছে না। যে ছবিটা দেখানো হচ্ছে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। পুলিশ কেন এই রকম করল সেটা অবশ্যই দেখতে হবে। পুলিশ একজনকে লাথি মারছে সেটা অবশ্যই কাম্য নয়। আমরা রিপোর্ট চেয়েছি। কিন্তু কেন এটা ঘটল সেটাও দেখতে হবে।’সংবাদমাধ্যমের সামনে এক চাকরিহারা প্রশ্ন তোলেন, ‘একদিকে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, পুলিশ চাকরিহারাদের ওপর লাঠিচার্জ করছে! আমাদের কী অপরাধ?’ এই ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। দাবি কয়েকজনের হাত-পাও ভেঙেছে। প্রসঙ্গত, শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরিহারারা পথে নেমেছেন। জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। দাবি ছিল, স্কুল পরিদর্শকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেবেন। কিন্তু কলকাতায় ফুটে উঠল অমানবিক ছবি। পুলিশের তরফে অবশ্য বলা হচ্ছে, চাকরিহারারা নিয়ম ভেঙেছিলেন। আগেই পুলিশকর্মীরা আহত হন। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal