Breaking News

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিলেন মমতা, উড়ল ধ্বজা!পুজো ‘মা-মাটি-মানুষে’র নামে

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কলিঙ্গ শৈলীতে তৈরি জগন্নাথদেবের মন্দিরটি পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি। বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন।তার আগে মঙ্গলবার পূর্বসূচি অনুযায়ী মহাযজ্ঞে শামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পূর্ণাহুতি দিলেন তিনি। নিজের হাতে করলেন আরতি। উড়ল ধ্বজাও।
সোমবার থেকেই সৈকত শহরে বাড়ছে পুর্ণ্যার্থীদের ভিড়। মঙ্গলবার নতুন করে আরও অনেক পূণ্যার্থী এসেছেন। একদিকে মন্দিরের ভেতরে যেমন চলছে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান তেমনই বিপুল জন সমাগম সামলাতে দিঘাজুড়ে পুলিশি নজরদারি চোখে পড়ার মতো।মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় মূল অনুষ্ঠান হবে। তিনটেয় মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করা হবে। তারপরই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের প্রবেশদ্বার।এদিন পুজো করার সময় পুরোহিত মুখ্যমন্ত্রীর গোত্র জিজ্ঞেস করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধর্ম তো কখনও মুখে প্রচার করে হয় না, হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। তাই আমি নিজের গোত্রে পুজো করি না, মা-মাটি-মানুষের গোত্রে পজো করি। মা-মাটি-মানুষ ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকব।”সূত্রের খবর, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গত ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে হোম যজ্ঞ। রাজেশ দ্বৈতাপতির পাশাপাশি পুজোর আচার অনুষ্ঠানের জন্য পুরী থেকে দিঘায় এসেছেন আরও ৫৭ জন সেবক। এছাড়াও ইসকনের ১৭ জন সন্ন্যাসীর তত্ত্বাবধানে চলছে যজ্ঞের কাজকর্ম। মন্দিরে জগন্নাথের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে মোট এক কোটিবার নরসিংহ মন্ত্রোচ্চারণ করছেন সেবকরা। মঙ্গলবারের হোমযজ্ঞের জন্য আনা হয়েছে ১০০ কুইন্টাল আম, বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে বাকি দেবদেবীর আহ্বান পর্ব শেষ হয়েছে। হয়েছে জগন্নাথের দুধস্নানও। পুরীর মতো এখানেও সুদর্শন দেব, দেবী লক্ষ্মী, বিমলা ও সত্যভামাকে অধিষ্ঠিত করা হবে। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাস জানান, এদিন মূল যজ্ঞর পর সন্ধেয় ফুলে সাজানো বিছানায় শোয়ানো হবে জগন্নাথ দেবকে। পরের দিন অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে পাথরের বিগ্রহের জগন্নাথ দেব ও রাধা-কৃষ্ণর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।মন্দির সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে মহাযজ্ঞের জন্য পেঁড়া, খাজা, গজা, রসগোল্লা ইত্যাদি মিষ্টি তৈরিও করা হচ্ছে। পুরীতে যেরকম জগন্নাথের প্রসাদ হিসেবে খাজা দেওয়া হয়, তেমনই দিঘাতেও ঠাকুরের প্রসাদ হিসেবে পেঁড়া এবং গজা দেওয়ার কথাও আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *