প্রসেনজিৎ ধর:-অবশেষে দ্বারোদ্ঘাটন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। এরপর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সাধারন মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই মন্দিরের বাইরে প্রচুর ভক্তের ভিড়।দরজা ঠেলে তিনি মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, সামনের আসনে উপবিষ্ট জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। বিগ্রহের সামনে আরতিও করলেন মমতা। প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করা হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। নবনির্মিত এই মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইসকনকে।মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে ছিল চাঁদের হাট। উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচী, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত মোহতা, অরিন্দম শীল, লাভলি মৈত্র, দিগন্ত বাগচী-সহ বাংলা বিনোদন দুনিয়ার নানা পরিচিত মুখ। এসেছেন দেবলীনা কুমার, ভিভান ঘোষেরাও। জিত গঙ্গোপাধ্যায়, অদিতি মুন্সি, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন। এরই পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশন করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের এই চা-চক্রে বাংলা-মুম্বইয়ের শিল্পীরা যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন কবি-সাহিত্যিক, বণিকসভা ও ময়দানের ক্রীড়াকর্তারাও।
এদিন দেবের মন্তব্য, ‘‘সম্প্রীতির ঐতিহাসিক মিলনক্ষেত্র দিঘায় জগন্নাথধামকে সাক্ষী রেখে মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশকে বার্তা দিয়েছেন। আসলে দিঘায় এখন পর্যটনের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিলন ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের সৈকতভূমিতে। বিভেদ উড়িয়ে বাংলা থেকে ফের সম্প্রীতির নিশান উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলা চিরকাল দেশকে পথ দেখিয়েছে, এবারও মুখ্যমন্ত্রী সেই পরম্পরা বজায় রেখেছেন।’’এই মন্দিরে নজর কাড়বে জগন্নাথধামের স্থাপত্যশৈলী। নাটমন্দিরটি যেটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপরে, সেটাও দেখার মতো। মূল মন্দিরে রয়েছে ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন এবং গর্ভগৃহ। ভেতরে সিংহাসনে রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি। নিমকাঠের তৈরি মূল বিগ্রহের পাশাপাশি পাথরের মূর্তিও রয়েছে।মন্দিরের স্থাপত্য বা নির্মাণের আজিক-কৌশল দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেই দেন, “এত সুন্দর স্থাপত্য ও কাজ এত সুন্দর-নিখুঁত হয়েছে যে বলার নয়। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছেন।” মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেন, “যতটা সম্ভব পেরেছি, করেছি।” বছর সাতেক আগে তিনি এই সমুদ্রসৈকতেই হাঁটতে হাঁটতে ভেবেছিলেন জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের ভাবনা। তাঁর মনে হয়েছিল, পুরীর মতো অনবদ্য সৈকত-ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি সবটাই দিঘায় রয়েছে। অক্ষয়তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে সেই স্বপ্নই পূরণ হল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal