প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এয়ারপোর্ট থানার ফরেনার্স অ্যাক্ট মামলায় ইডির হাতে ধৃত আজাদ মল্লিক আসলে বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানের নাগরিক। আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল ইডির। ইডি সূত্রে খবর পাকিস্তানের পরিচয় পত্রে ‘আজাদ হোসেন’ নাম রয়েছে এই ‘আজাদ মল্লিকের’। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ একাধিক নথি মিলেছে তাঁর কাছ থেকে।বিরাটি বাঁকড়া এলাকার বাসিন্দা আজাদ মল্লিক। নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিত সে। জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের তদন্তে নেমে আজাদকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আজাদ নিজে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসেছিল বলে অভিযোগ। আর এই চক্রের খুঁটিনাটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ছিল তার হাতের মুঠোয়। সেই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো পাসপোর্ট বানাত। সেই তদন্ত এগোতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি। তারা আদালতে জানাল, ধৃত আজাদ মল্লিক পাকিস্তানের নাগরিক। পাকিস্তানের পরিচয় গোপন করতেই নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করত।ভুয়ো পরিচয়পত্র, ভুয়ো নথি তৈরির মতো একাধিক জালিয়াতির অভিযোগে ২০২২ -এ গ্রেফতার করা হয় আজাদ চৌধুরী ওরফে আজাদ হোসেনকে। ইতিমধ্যেই আরও একটি প্রতারণা মামলায় নাম উঠে এসেছে এই আজাদের। আর তাতেই ২০২২-এ ধৃত আজাদকে নতুন ইসিআইআর করে ফের হেফাজতে নিল ইডি। আর তাতেই উঠে এল চাঞ্চ্যলকর তথ্য। ইডির দেওয়া তথ্য বলছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২.৬২ কোটি টাকা রয়েছে আজাদ হোসেনের। এই আজাদ দেশ বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই আদালতকে জানিয়েছে ইডি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal