দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-আজ অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দ্বারোদ্ঘাটন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন। সঙ্গে আছেন সাংসদ দেব থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীরা। আজ বুধবার সকাল থেকেও শুরু হয় যজ্ঞ। বন্ধ দরজার ভিতরে জগন্নাথের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতরা এই কাজ করেন।বুধবার দুপুরের মাহেন্দ্রক্ষণে এই মন্দিরের উদ্বোধন করেন তিনি । ঘোষণা করেন, রাজ্যের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে মন্দিরের প্রসাদ ও ছবি ।মমতা এদিন বলেন, “সব ধর্মের লোক এসেছে। স্থানীয়দের সাহায্য পেয়েছি, সেলেব-শিল্পপতি সবাইকে ধন্যবাদ। সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্ম, আদ্যাপীঠের মহারাজ, স্বামীজির বাড়ি, বেলুড় মঠ, জয়রামবাটি, কামারপুকুর, কালীঘাট, ইসকন, পুরীর দ্বৈতপতি সবাই এসেছেন। সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষ এসেছেন। তিন বছর ধরে কাজ শেষ হয়েছে। হিডকোর সকলকে অভিনন্দন। যাঁরা এই কাজ করেছেন সকলকে ধন্যবাদ। মন্দির চত্বরকে কেন্দ্র করে ৫০০-র বেশি গাছ বসানো হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান হিসেবে পর্যটক তরঙ্গে উন্মদনার প্লাবন তৈরি করবে এই মন্দির। সবাই আসুন। সবারে করি আহ্বান।” এদিন মন্দির উদ্বোধনের আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুপুর ৩টে ৫ থেকে ৩টে ১৪ মিনিট পর্যন্ত শুভ সময়। তার মধ্যেই মন্দির উদ্বোধন সম্পন্ন হবে। সেই সময়ের মধ্যেই দ্বারোদঘাটন করলেন তিনি। বুধবার সর্বসাধারণের জন্য দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা।মঙ্গলবারের পর বুধবারও জগন্নাথ মন্দিরে সকাল থেকে হয়েছে যজ্ঞ। বদ্ধ দরজার ভিতরে জগন্নাথের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতরা। ছিলেন ইসকনের কর্মকর্তা তথা দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমণ দাসও। পরবর্তী সময়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান শেষেই জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা আরও বলেন, “সকলেই ভোগ পাবেন। গজা, প্যারা, খাজার দোকান হচ্ছে। মন্দিরের ছবি, প্রসাদ সারা বাংলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। গোটা দেশে যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। ইসকন ভোগের ব্যবস্থা করবে রোজ।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal