Breaking News

স্ত্রীর অপমৃত্যুর তিনমাস পর বন্ধ ঘর থেকে স্বামী ও শিশুকন্যার দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-চারমাসের ব্যবধানে মর্মান্তিক পরিণতি হল একটি পরিবারের | প্রথমে স্ত্রী এবং পরে স্বামী ও তাঁদের চারমাসের শিশুকন্যার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল | তিনজনের মারা যাওয়ার নেপথ্যে মানসিক হতাশাই কাজ করেছে, এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ | মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানা এলাকার সিঙিমারি এলাকায় | সেখানকার বাসিন্দা দীপক রায়ের ৩৪ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার সকালে | ওই ঘরেই পাওয়া গিয়েছে দীপকের সাতমাসের শিশুকন্যার মৃতদেহ| দীপকবাবু পেশায় একটি ঋণদান সংস্থার কর্মী ছিলেন| প্রসঙ্গত, গত তিনমাস আগে তাঁর স্ত্রী দীপা রায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে খবর| এভাবে একটি পরিবার শেষ হয়ে যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া| জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে সিঙ্গিমারির বাসিন্দা দীপক রায়ের সঙ্গে রামশাই এলাকার দীপার বিয়ে হয়েছিল| দু’জনের সুখের সংসার ছিল| গত সাতমাস আগে তাঁদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়| যদিও সেই সন্তান শারীরিকভাবে অসুস্থ| তাই নিয়ে মা-বাবার মধ্যে দুশ্চিন্তাও ছিল| এই অবস্থায় মাস তিনেক আগে বাপেরবাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন দীপা| পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে জলপাইগুড়ির রামশাইয়ের বাসিন্দা দীপা রায়ের বিয়ে হয় | তারপর থেকে মেয়েকে নিয়েই দিন কাটছিল দীপকের | বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধা মা রয়েছেন | ফলে সন্তানের দেখভালে সমস্যা হচ্ছিল | সম্প্রতি মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন দীপক ৷ সেখান থেকে চিকিৎসার পর ফিরেছিলেন দু’দিন আগে ৷ তার মধ্যেই মর্মান্তিক পরিণতি হয়| দীপক রায়ের জামাইবাবু কালীদাস রায় বলেন, ‘‘রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমোই । দু’দিন আগেই কলকাতা থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসে মেয়ের । বাচ্চাটিকে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিল । বাচ্চা মেয়েটি সুস্থসবল ছিল না । সকালে বাড়ি থেকে ডাকাডাকির পরে কোনও সাড়া দেয় না । এরপর দরজা ভেঙে দেখে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে দীপক । বাচ্চাটিও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ।’’পুলিশের অনুমান, হয়তো হতাশা থেকেই চরম পদক্ষেপ করে ফেলেছেন দীপক |

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *