প্রসেনজিৎ ধর,হুগলি:- ২২ দিনের অপেক্ষার অবসান। বুধবার সকালে পাকিস্তানে বন্দি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ ফিরেছেন দেশে। পাঠানকোটে কর্মস্থলে পৌঁছেই স্ত্রীকে ভিডিও কল করলেন জওয়ান।এদিন স্বামীর সাথে কথা বলে রজনী বলেন, ‘‘ভিডিয়ো কলে কথা হল ওর সঙ্গে। একমুখ দাড়ি হয়ে গিয়েছে। আমাকে বলল টেনশন কোরো না। আমি ঠিক আছি। দাড়ি কাটতে হবে। পরে কথা বলছি।’’ রজনী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সকলেরই খোঁজখবর নিয়েছেন। চিন্তা করতে বারণ করেছেন।একাধিক ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর ২২ দিন পর, বুধবার পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পেলেন পূর্ণমকুমার সাউ। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জওয়ানের স্ত্রীকে ফোন করেন। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “পাকিস্তানে বন্দি জওয়ানের মুক্তির খবর পেয়েছি। আমি খুব খুশি। আমি ওর পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলাম। আগেও ওর স্ত্রী রজনীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আজ আবার ফোন করেছিলাম। পূর্ণমকে শুভেচ্ছা। গোটা পরিবার খুব ভালো থাকুক।”কূটনৈতিক স্তরে আলোচনায় সাফল্য পেয়েছে ভারত। অবশেষে দেশে ফিরেছেন পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। পূর্ণম বন্দি থাকাকালীন বিএসএফ থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় দরবার করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রজনী। আজ, বুধবার স্বামী দেশে ফিরে আসার খবর পেয়ে স্বস্তির হাওয়া পরিবারে। রজনী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। চেয়ারম্যান পাশে থেকেছেন। সারা দেশবাসী এই ক’দিন পরিবারের সঙ্গে ছিলেন সকলের আশীর্বাদ এবং প্রার্থনায় স্বামী অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ।”পূর্ণমকে পাকিস্তানের হাতে আটক হওয়ার পর থেকেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিএসএফের ডিজি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ণমের স্ত্রীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবারও ফোন করে পরিবারের খোঁজ খবর নেন তিনি। আশ্বাস দেন সাতদিনের মধ্যে জওয়ানকে ফিরিয়ে আনা হবে। তার মধ্যেই আজ বুধবার সকালে সাড়ে দশটা নাগাদ ওয়াঘা-আটারি বর্ডার দিয়ে ভারতীয় জওয়ানকে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান। পূর্ণমের বাবা বলেন, ছেলে দেশে ফিরে এসেছে। তবে এখনই ফিরছে না। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর ওকে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal