প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে জোর ধাক্কা বিজেপিতে। আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ তথা চা বলয়ের দাপুটে নেতা জন বার্লা। এদিন তৃণমূল ভবনে এসে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সুব্রত বক্সীর হাত ধরে ঘাসফুলে যোগ দেন জন বার্লা। যার ফলে উত্তরবঙ্গে তথা চা বলয়ে আরও শক্তি বাড়াল তৃণমূল। নতুন দলে যোগ দিয়েই বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি। সঙ্গে উত্তরবঙ্গের চা বাগানে তৃণমূলের সংগঠনকে জোরদার করবেন বলেও মত প্রকাশ করেন |জন বারলার বক্তব্য, ‘১৬০ কোটির হাসপাতাল বানাতে চেয়েছিলাম। রেলের জমিতে হাসপাতাল তৈরি হচ্ছিল। ১০০ শতাংশ ফান্ড জোগাড় করেছিলাম। বিরোধী দলনেতা আটকে দিয়েছিলেন। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী আটকে দেন। এভাবে আটকালে কে দলে কাজ করবে?’তাছাড়া উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে নানা কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া দিশা পেয়েছেন চা–বাগানের শ্রমিকরা। তবে জনসমর্থনে জিতে মন্ত্রী হলেও সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি জন বারলা। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলবদল করে বলেন, ‘সাত মাস আগে থেকে কথা চলছিল। দিদি ফোন করেছিলেন। আমি চেয়েছিলাম চা–বাগান নিয়ে কাজ করতে। মন্ত্রী হয়ে কাজ করতে গিয়ে সবসময় বাধা পেয়েছি। শুভেন্দু রেল দফতরে ফোন করে কাজে বাধা দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর চা–বাগানের জন্য অনেক কাজ করেছেন। জমির পাট্টাও দিয়েছেন। কেন এই দল করব যেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। আমার দলই আমাকে অপমান করেছে। উন্নয়নের কাজ করতে দিত না। আদিবাসীদের অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হবে এবার। দিদি সবাইকে নিয়ে চলেন।’বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভার ভোট। তার আগে উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে চা বলয় থেকে একজন দাপুটে বিজেপি নেতাকে দলে যোগদান করিয়ে গেরুয়া শিবিরে বড় ধাক্কা দিয়েছে ঘাসফুল শিবির, মত রাজনৈতিক মহলের।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal