নিজস্ব সংবাদদাতা :- প্রয়াত হলেন নদিয়ার তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। গত মঙ্গলবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার পর তাঁকে প্রথমে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে, পরে কলকাতায় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।বৃহস্পতিবার, বিধানসভায় প্রয়াত বিধায়ককে শ্রদ্ধা জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম,নির্মল মাজি,সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ অন্যান্যরা।বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তাপস সাহাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অভিষেক ছেলেকে বললেন, “এই সময় ভেঙে পড়বে না। নিজের খেয়াল রাখবে।” পাশাপাশি বাকি বিধায়কদেরও প্রতি অভিষেকের বার্তা, ছেলেটিকে দেখবেন, ও যেন একা না হয়ে পড়ে।দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধার প্রয়াণে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে বিধানসভায় তাঁকে মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিধায়কের ছেলে সাগ্নিকের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে কার্যত মানসিকভাবে সাহস জোগান। বলেন, “এই সময় ভেঙে পড়বে না। নিজের খেয়াল রাখবে।” সূত্রের খবর, জেলার বিধায়কদেরও অভিষেক বার্তা দেন, মা-বাবাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে যাওয়া ছেলেটিকে যেন আগলে রাখেন সকলে। যেন তিনি একলা বোধ না করেন, সেদিকে নজর রাখতে বলেন।ঘুমের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত হয়েছিলেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা| ব্রেন ডেথ হয়েছিল তাঁর। তাপস সাহার প্রয়াণে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। ২০২১ সালে তেহট্ট থেকে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নাম জড়ানোয় তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তাপস। মাসখানেক আগে বেঙ্গালুরুতেও গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। এরপর আচমকাই বুধবার বাড়িতেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal