প্রসেনজিৎ ধর:- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকায় একটি গোপন ডেরা তৈরি করা হয়েছিল। আর ওই ডেরায় বসে জাল আধার কার্ড তৈরি করার কাজ চলত বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল দুই যুবক। এখানে আধার কার্ড তৈরি করতে কোনও নথির দরকার হতো না। শুধু টাকা দিলেই বানিয়ে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তে এভাবেই জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ শনিবার সেখানে অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেল পুলিশ।মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার নরসিংপুর বাজার থেকে ওই চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করেছে জাল আধার তৈরির সরঞ্জামও। পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম সানাউল্লা শেখ, বয়স ৩২ বছর ও আনোয়ার রহমান, বয়স ৩০ বছর। তাদের বাড়ি সাগরপাড়া থানার বারোমাসিয়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, নরসিংহপুর বাজারে সানাউল্লা শেখ নিজের দোকানে বসেই ওই কাজ চালাত। সীমান্ত এলাকার বাজার বা গ্রাম থেকে জাল আধার তৈরির পাঁচ পান্ডা গ্রেপ্তার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ১৪ মে রাতে রানিনগরের পুলিশ কাতলামারীর কদমতলা গ্রাম থেকে একইভাবে জাল আধার তৈরির সরঞ্জাম-সহ তিন পান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার,দু’টি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, দু’টি স্ক্যানার, দু’টি ফোন, তিনটে তৈরী আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, সীমান্তের গ্রামে একটি ছবি প্রিন্টের দোকান রয়েছে। আর সেখানে বসেই জাল আধার কার্ড তৈরির ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল এই দুই যুবক। আগে গোটা জায়গার খবর পেয়ে পরিকল্পনা করে পুলিশ। তারপর খদ্দের সেজে প্রথমে পুলিশ সেখানে যায়। আধার কার্ড করতে কত টাকা লাগবে? সহ নানা প্রশ্ন করেন পুলিশ অফিসাররা। তখনই ধরা পড়ে যায় ওই দুই যুবক। ততক্ষণে চারদিক দিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। সুতরাং পালাতে সক্ষম হয়নি ওই দুই অভিযুক্ত|এছাড়া জেরায় ধৃতরা পুলিশের কাছে জাল চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই কাজে তাদের আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল। তাদের নাম জোগাড় করেছে পুলিশ এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে এসডিপিও (ডোমকল) শুভম বাজাজ বলেন, ‘ধৃত যুবকদের হেফাজত থেকে দুটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি স্মার্টফোন, চারটি সিম কার্ড, দুটি ফিঙ্গার স্ক্যানার এবং তিনটি আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি বাজেয়াপ্ত করা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজগুলি ব্যবহার করেই ধৃত যুবকরা অনেকদিন ধরে বেআইনিভাবে জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র চালাচ্ছিল।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal