দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ট্যাংরায় দে পরিবারের তিন সদস্যকে খুনের ঘটনায় এবার বড় ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।শনিবার এনআরএস হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই ধৃত প্রণয়কে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ৩০ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ট্যাংরায় অভিজাত দে পরিবারের দুই স্ত্রীর হাতের শিরা ও গলা কেটে ও কিশোরী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর নাবালক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন। বাড়ির ছোট ছেলে প্রসূন দে গ্রেপ্তারির পর জেলে রয়েছেন। তিনিই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন করেছিলেন বলে অভিযোগ। দাদা প্রণয় দে সঙ্গী ছিলেন ভাইয়ের। এদিন তাঁকেও গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে এনআরএসে ভর্তি ছিলেন।তদন্তে জানা যায়, পরিবারের তিন সদস্য রোমি দে, সুদেষ্ণা দে এবং প্রিয়ম্বদাকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছোট ছেলে প্রসূণের বিরুদ্ধে। তিনটি দেহ বাড়িতে রেখে প্রতীপ ও তার বাবা প্রণয়কে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন প্রসূন। ভোরে তাঁদের গাড়ি বাইপাসের ধারে মেট্রোর স্তম্ভে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় তিন জনই গুরুতর জখম হন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন তাঁরা। সুস্থ হয়ে ওঠার পরে খুনের অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় প্রসূনকে। বর্তমানে গ্রেফতার হল প্রণয়কেও।এদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। দুর্ঘটনার পর থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখান থেকে এনআরএসে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রসূন আগেই গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এখন প্রণয়ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গ্রেফতার হতেই তাঁরও গোপন জবানবন্দি নেওয়ার পথে হাঁটতে পারেন তদন্তকারীরা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal