Breaking News

‘ওরা উন্নয়ন দেখতে পায় না’,উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা’র জন্য কেন্দ্রকে তোপ মমতার! বিরোধীদের দিলেন কুৎসার জবাব

প্রসেনজিৎ ধর :- রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেগুলি নিজের খরচে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের কাজের জোয়ার এসেছে। উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে রীতিমতো কাজের হিসাব দিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হিসাব দিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “ওরা দেখতে পায় না।”আজ উত্তরবঙ্গে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের দ্বিতীয় দিন। আর সেখানে ডাবগ্রাম–ফুলবাড়িতে প্রশাসনিক সভা থেকে নানা তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এই মঞ্চ থেকে বিরোধীদের তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‌যাঁরা চোখে উন্নয়ন দেখতে পান না তাঁরা পিঠে কুলো, কানে তুলো আর চোখে ঠুলো পড়ে আছেন। কাগজে লেখার জায়গা আছে তো?‌ পর্যটনে বাংলা শ্রেষ্ঠ জায়গা। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা তুলে দিচ্ছে। যাঁরা মাটির মানুষ তাঁদের সম্মান করুন। যে মেধা মাটি থেকে তৈরি হয়ে ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সেটাই আসল মেধা। যাঁরা মাটি থেকে উঠে আসেন তাঁদের আমি বেশি সম্মান করি। তাঁদের দিকে ফিরে দেখুন। মনটাকে মুক্ত করুন। বদ্ধ করবেন না।’‌এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও যে উন্নয়ন চলছে সারা রাজ্যে সেটা দেখতে বলেছেন তিনি। বিজেপি যে কোনও কাজ করেনি তাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আসতে আসতে সব কাজ করে দেবো। আমি ম্যাজিশিয়ান নই। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বকেয়া পাইনি। জিএসটি নিয়ে চলে যায়। সেই টাকা ঠিক মতো দেয় না। তারপরও উন্নয়নের কাজ চলছে।‌ বিজেপির এক নেতা ভোটের আগে বলেছিলেন চা–বাগান খুলে দেওয়া হবে। একটাও খুলতে পারেনি। আমরা খুলে দিয়েছি। টাকার হিসাব করছেন লজ্জা করে না। কাজ নেই কর্ম নেই সারাদিন সমালোচনা করা। নিজেরা মাপেন কতটা ভাত খেলেন। আমাকে মনুষ্যত্ব শেখাবার আগে মানুষ তৈরি করা দরকার। শুধু ডিগ্রি থাকলেই হয় না। সেটা মানুষের কাজে ব্যবহার হলে তবেই সাফল্য।’‌এদিন সভা থেকে খতিয়ান তুলে মমতা বলেন, “আগে ১২ লক্ষ, এখন ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানানোর টাকা দেওয়া হল। ২৮ লক্ষ মানুষ উপকৃত হলেন। ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *