Breaking News

গাইসালে চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন!বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল যাত্রীবাহী ট্রেন

দেবরীনা মণ্ডল সাহা:-১৯৯৯ সালের সেই দুর্ঘটনার স্মৃতিকে উসকে দিয়ে সেই গাইসালের কাছেই মালদাগামী ট্রেনে আগুন।
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল যাত্রীবাহী মালদহ-শিলিগুড়ি ডেমো ট্রেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের কাছে গাইসাল স্টেশন ছাড়ার আগে ওই ইঞ্জিনে আগুন লাগে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্টেশন চত্বর ও ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে। পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই আগুন নেভায়। ঘটনায় বেশ কিছু সময় ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। সূত্রের খবর, ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এরপর খবর যায় দমকল দফতরে। দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে আগুনের জেরে ইঞ্জিনের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে।তবে আশার কথা একটাই যাত্রী, চালক গার্ড বা কোনও রেলকর্মীর ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনায় যাত্রীদের মধ্য়েই প্রচন্ড আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। দমকল গিয়ে পরিস্থিতি কোনওরকমে নিয়ন্ত্রণে আনে।আগুন লাগার খবর স্টেশনের কর্মী, পুলিশদের কাছেও পৌঁছয়। রেল পুলিশ ও আধিকারিকরা দ্রুত সেখানে চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ আপ মালদহ-শিলিগুড়ি ডেমো ট্রেনটি গাইসাল স্টেশনে ছাড়ছিল। ট্রেনের গার্ড অনুভব করেন ইঞ্জিন অত্যন্ত গরম হয়ে গিয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি ইঞ্জিনের ভিতর আগুন দেখতে পান। প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার পরই চালক দ্রুত ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এদিকে ততক্ষণে ইঞ্জিন দিয়ে গলগল করে কালো ধোয়া বেরতে দেখা যায়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়ায় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। ট্রেন থেকে আতঙ্কিত যাত্রীরা লাফিয়ে নামেন। বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় স্টেশন চত্বর ও ওই ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সতর্কতার জন্য ওভারহেডের তারের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ওই লাইনে সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল।এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে গুঞ্জরিয়ার কাছে রাজধানী এক্সপ্রেস থমকে যায়। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কিষাণগঞ্জ রেলপুলিশের ইন্সপেক্টর এইচ কে শর্মা বলেন,”যাত্রীরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে। কামরায় আগুন লাগেনি। শুধু ট্রেনের পিছনে গার্ড ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। তবে ট্রেনের কর্মীদের তৎপরতায় আগুন দেখতে পেতে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।” কীভাবে ওই ইঞ্জিনে আগুন লাগল, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *