Breaking News

ভুয়ো পরিচয় দিয়ে আধার-ভোটার তথ্য যাচাই!বাঁকুড়ায় গ্রেফতার ৫ জন

প্রসেনজিৎ ধর:-বাঁকুড়া শহরে সমীক্ষা করতে গিয়ে এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল সমীক্ষক দলের দুই মহিলা–সহ পাঁচজন সদস্য। শহর থেকে গ্রামবাংলায় এরকম ভুয়ো সমীক্ষক দল ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভোটারদের তথ্য নিচ্ছে। এসবের নেপথ্যে গভীর চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র আছে। তাই বিধায়ক,সাংসদ,পঞ্চায়েত প্রধান এবং নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার জন্য সার্কুলার জারি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। খবরটা যে সঠিক ছিল সেটা এবার প্রমাণ হয়ে গেল। ধৃতদের আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে একাধিক বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল রবিবার অপরিচিত দুই মহিলা ও তিন যুবককে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের নাম আরতি মোদক, শিখা মাজি, প্রবীর ঘোষ, হারাধন লোহার, সুদীপ মণ্ডল।ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ে। বাকিদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়।এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা জানিয়েছিলেন, একটি সংস্থার থেকে জনমত সমীক্ষা করার জন্য গিয়েছেন। সেজন্য বাসিন্দাদের থেকে ভোটার, আধার, রেশন কার্ডও দেখতে চাওয়া হয়। পরিবারে কতজন সদস্য আছেন? ভোটাধিকারের অধিকার কতজনের আছে? সেসব কথা শোনার পাশাপাশি বাসিন্দাদের কথাবার্তা রেকর্ডও করা হচ্ছিল।বিষয়টি জানতে পেরে ওই এলাকার কাউন্সিলর বাপি চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে জানান। ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু নিজেদের বিষয়ে পরিষ্কার কোনও কথা তাঁরা বলতে পারেননি।এরপরেও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ জেরার জন্য তাঁদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের কাছে জানানো হয়, একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে তাঁরা সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন সংস্থার থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কে তেমন তথ্য দিতে পারেননি। এরপরেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়| ধৃতদের দাবি, তারা একটি বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থার কর্মী। এই বিষয়ে পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘অভিযুক্তরা বাঁকুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নাম করে ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড সংগ্রহ করছিল। অভিযুক্তদের কাছ থেকে বেশ কিছু আধার এবং ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। যে সংস্থার নাম করে সমীক্ষা করছিল, এখনও পর্যন্ত সেই সংস্থার কোনও হদিশ মেলেনি।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *