Breaking News

ইঞ্জিনিয়র থেকে এবার বিধানসভার লড়াইয়ে!নদিয়ার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী আলিফা

প্রসেনজিৎ ধর :-কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। অথচ বাস্তবে তাঁকে বাবার অসমাপ্ত কাজ করার ভার নিতে হল। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়েকেই উপনির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।পেশায় তিনি বিটেক ইঞ্জিনিয়ার।মঙ্গলবার প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পর সমাজমাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কালীগঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, মহুয়ার মতোই তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালীগঞ্জের দলীয় প্রার্থীর মিল অনেক। মহুয়ার মতো আলিফাও কর্পোরেট দুনিয়া থেকে রাজনীতি করতে আসা একজন নারী। রাজনীতিতে আসার আগে বিদেশি সংস্থার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার ছিলেন মহুয়া। থাকতেন বিদেশে। আলিফা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। চাকরি করেন একটি নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়। মহুয়ার মতোই কর্পোরেট জীবনে সফল হওয়ার পরেও রাজনীতির ময়দানে এলেন আলিফা। তিনি জানেন, এই পথ মসৃণ নয়। তবে কঠিন রাস্তা পার হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী নাসিরুদ্দিন-কন্যা। তাঁর দাবি, রাজনীতিতে তিনি খানিক নতুন হলেও রাজনীতি তাঁর কাছে নতুন নয়। আলিফার নিজের কথায়, ‘‘বাবা আমার রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা। হাতে ধরে রাজনীতি শিখিয়েছেন। বাবার দেখানো পথেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে চাই।’’২০১১ সালে নাসিরুদ্দিন যখন ভোটে লড়েন, তখন থেকেই বুথ ধরে ধরে নির্বাচন পরিচালনা করতেন মেয়ে আলিফা। ২০১৮ সালে নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। তাই রাজনীতিতে আনকোরা নন বলেই দাবি তাঁর। আবার দল যে ‘এত তাড়াতাড়ি’ এমন গুরুদায়িত্ব দেবে সেটাও তিনি ভাবতে পারেননি। আলিফার কথায়, ‘‘আমি আমার দায়িত্ব নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন। তাই জয় নিয়েও আত্মবিশ্বাসী।’’তৃণমূল প্রার্থী আলিফার স্কুলজীবন কেটেছে মহুয়ার লোকসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে। হোলি ফ্যামিলি গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে বিটেক করেন দুর্গাপুর বেঙ্গল কলেজ থেকে। বর্তমানে টাটা কনসালটেন্সি এজেন্সির ‘প্রজেক্ট ম্যানেজার’ তিনি। পেশার কারণে অধিকাংশ সময় কলকাতায় থাকলেও দল যা দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে তিনি এখন থেকে কালীগঞ্জেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন|কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মঙ্গলবারই সিলমোহর পড়েছে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদের নামে। তাঁকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল। তিনিই ভোটে লড়বেন, প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিত ছিল জেলা নেতৃত্ব। শুধু অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। মঙ্গলবার সকালে দলের তরফে সোশাল মিডিয়ায় তাঁর নাম ঘোষণা করা হল। তারপর থেকেই হাজার হাজার শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন আলিফা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *