প্রসেনজিৎ ধর :- বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী। ‘সিঁদুর অভিযান’-এর পর এটিই মোদীর প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফর। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের প্রায় এক বছর আগের প্রথম সফরও বটে। সেই কর্মসূচির ২৪ ঘণ্টা আগে ‘এক্স’ হ্যান্ডলে পোস্ট করে ‘দুর্নীতি এবং প্রশাসন’ নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করলেন মোদী। বৃহস্পতিবার মোদী কী বলেন, তা দেখে পাল্টা দেওয়ার প্রস্তুতি বুধবার দুপুর থেকেই শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের পর আর অপেক্ষা করেনি বাংলার শাসকদল। পরিযায়ী পাখির ছবি দিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূলের ‘এক্স’ হ্যান্ডল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন বাংলার ন্যায্য পাওনা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে?এদিন বিকেলে সোশ্যাল মাধ্যমের পোস্টে তৃণমূলের দুর্নীতির পাশাপাশি কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প বাংলার মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইটে মোদী লিখেছেন, “আগামিকাল বিকেলে আলিপুরদুয়ারের জনসভায় আমি ভাষণ দেব। গত এক দশক ধরে এনডিএ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাংলার মানুষের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। একই সঙ্গে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং দুর্বল প্রশাসনে ক্লান্ত।”মোদীর এই টুইট সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল শিবির থেকে ধেয়ে এসেছে পাল্টা কটাক্ষ। শাসকদলের তরফে মোদীকে নিশানা করে লেখা হয়েছে, ‘বাংলায় আবার মরসুমি ভ্রমণে আসছেন পরিযায়ী পাখি, তাঁর কাছে সহজ প্রশ্ন, বাংলার ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার ন্যায্য পাওনা কেন্দ্র কেন এখনও আটকে রেখেছে?টুইট পাল্টা টুইট ঘিরে মোদীর সফরের আগেই সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের পরে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন দেশের প্রশ্নে সবাই এক, আমাদের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের হয়ে বিদেশে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে যখন বক্তৃতায় কাঁপিয়ে দিচ্ছেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের কথা আসলে কুয়োর ব্যাঙের রাজনীতি।’’ কুণাল এ-ও বলে দিয়েছেন, রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করা হলে পাল্টা ফেরত পেতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal