Breaking News

মেমারিতে বাড়ির বাইরে দম্পতির নলি কাটা দেহ উদ্ধার!উধাও ছেলে, তদন্তে পুলিশ

দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-বাড়ির ভিতরে দম্পতিকে গলা কেটে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ| বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে| ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ| চলছে মৃত দম্পতির পুত্রের খোঁজ| পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাশিয়াড়া কাজিপাড়া মোক্তারবাগান এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেমারি থানার পুলিশ| পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা মুস্তাফিজুর রহমান (৬৬) ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ পারভীন (৫৬)| পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘরের ভিতরে ওই দম্পতিকে খুন করার পরে তাঁদের রক্তাক্ত দেহ বাড়ির বাইরে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে| ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে যান পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস| স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালের দিকে মেমারির কাশিয়ারা কাজিপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা দেখতে পান বাড়ির বাইরে রাস্তার ধারে রক্তাক্ত দুটি গলাকাটা দেহ পড়ে আছে | মেমারি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে| স্থানীয়দের মতে ওই বাড়িতে মুস্তাফিজুর রহমান, তাঁর স্ত্রী মমতাজ পারভীন ও ছেলে আসিফ থাকতেন| মুস্তাফিজুর রহমান মূলত চাষের কাজ করতেন| ছেলে আসিফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আগে দিল্লিতে কাজ করতেন| মাঝখানে সে প্রায় মাস তিনেক নিখোঁজ ছিল| পরে বাবা পুলিশের সাহায্যে তাঁকে খুঁজে বের করে মেমারির বাড়িতে নিয়ে চলে আসে| এরপর থেকে তাঁরা তিন জনেই বাড়িতে থাকতেন | দম্পতি খুনের ঘটনার পর থেকে তাঁদের ছেলে আসিকের খোঁজ মেলেনি| পুলিশ তদন্ত করে দেখছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের ছেলের কোন যোগসূত্র আছে কি না। বাড়ির বাইরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই দম্পতিকে খুন করে পরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে এনে রাস্তার ধারে ফেলা দেওয়া হয়েছে । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানান, সকালে মেমারি থানার পুলিশের কাছে জোড়া দেহ উদ্ধারের খবর আসে। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে যায়, তখনও রক্তাক্ত অবস্থায় দুটো দেহ পড়ে ছিল রাস্তায়। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। তবে মৃত দম্পতির ছেলেকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওঁদের (মৃত দম্পতি) মেয়ে বাইরে থাকেন। তাঁকে খবর পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা এলাকায় গিয়েছেন।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *