Breaking News

‘অপারেশন সিঁদুর’-র সঙ্গে বাঙালির ‘সিঁদুর খেলার’ আবেগকে জুড়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী! অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ‘ঢাক পেটানো’ মোদীকে তোপ মমতার

প্রসেনজিৎ ধর:- অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী |বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছে প্রথমে সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী |তারপর হাজির হন বিজেপির কর্মসূচিতে | সেখানে প্রায় সাড়ে ৩২ মিনিট ভাষণ দেন তিনি | একেবারে শেষেরদিকে তিনি অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ তোলেন| সেখানে বাংলাকে প্রাসঙ্গিক করতে সিঁদুর খেলা থেকে মহিষাসুরমর্দিনী, এমনকী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উল্লেখ ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে| বঙ্গসফরে এসে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে হাতিয়ার করে ভোটবাক্স শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন মোদী |আর তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |বৃহস্পতিবার বঙ্গসফরে এসে মোদী বলেন, “আজ সিঁদুর খেলার বাংলার ভূমিতে এসেছি। তাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন সংকল্প নিয়ে চর্চা হওয়া খুব স্বাভাবিক। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল তারপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যেও অনেক ক্ষোভ জন্মেছিল। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছিল। আমাদের সেনারা সিঁদুরের শক্তি দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা ওই আতঙ্কবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে যেটা পাকিস্তান কল্পনাও করতে পারেনি। পাকিস্তানের কাছে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো ছাড়া আর কিছু নেই। ওদের কোনও ভালো দিক নেই। দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই ওরা শুধু আতঙ্কবাদীদের পুষেছে। দেশভাগের পর থেকে ওরা শুধু ভারতের উপর হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশে যেভাবে খুন, ধর্ষণ চালিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা সেটা কেউ ভুলবে না। এটাই ওদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। যখন সম্মুখ সমর হয় তখন পাকিস্তান নিজের অবস্থান বুঝে যায়। এজন্যই ওরা সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য নেয়। কিন্তু পহেলগাঁও হামলার পর ভারত বিশ্বকে বলে দিয়েছে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হলে শত্রুকে তার বড় দাম দিতে হবে। পাকিস্তান মনে রাখুক আমরা তিনবার ওদের ঘরে ঢুকিয়ে মেরেছি। আমরা শক্তির পূজা করি। আমরা মহিষাসুরমর্দিনীর পুজো করি। এটা ১৪০ কোটির ভারতবাসীর বার্তা-অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গকে এখন হিংসা, তুষ্টিকরণ, দাঙ্গা, মহিলা অত্যাচার, দুর্নীতির রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে হবে।”পালটা সাংবাদিক বৈঠকে তার জবাব দিয়ে মমতা বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে এবিষয়ে এখনি কিছু বলব না। বিজেপি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা যখন দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছে। তখন নির্বাচনী রং লাগিয়ে রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন বিজেপিরই লোক। আগে চাওয়ালা। তারপর চৌকিদার। আর এখন বলছেন সিঁদুর বেচবেন। মা, বোনের সিঁদুর এভাবে বেচা যায় না। প্রত্যেক মহিলা তাঁর স্বামীর হাত থেকে সিঁদুর নেন। এমনভাবে বলছেন মোদী যেন আপনি সকলের স্বামী। মোদি কেন নিজের স্ত্রীকে সিঁদুর পরাচ্ছেন না?”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *