Breaking News

বিধানসভায় ফের তুলকালাম!সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও,ওয়াকআউট বিজেপির

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বেশ কয়েকটি সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার কথা আছে বিধানসভায়। সোমবার তা নিয়েই বসেছিল বিধানসভার বাদল অধিবেশন। প্রথমার্ধে হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। আর তখনই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভার কক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। এই আবহে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। আর এই ঘটনার পরই কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার বিজেপির শিক্ষক সেলের বিধায়করা মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়েও বিধানসভায় আলোচনা চান বিজেপির বিধায়করা। তবে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জানান, এই বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এই বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা সম্ভব নয়। কিন্তু বিজেপির দাবি, এমন একাধিক বিচারাধীন বিষয় নিয়ে অতীতে বিধানসভায় কথা হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে আপত্তি কীসের? এরপর বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। চিৎকার করতে থাকেন। সেইসময় আবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়করা হই হট্টগোল করতে শুরু করেন। এরপরই মনোজ ওঁরাওকে সাসপেন্ড করা হয়। বিধায়কের দাবি, মার্শাল ডেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। তবে কতদিনের জন্য সাসপেনশন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। এরপর বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। সামনে রাখা তুলসি গাছ। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, ন্যায্য বিষয়ে কথা বলতে গেলেই তাঁদের সাসপেন্ড করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়।তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ই উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং শঙ্কর ঘোষরা। পাল্টা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপি বিধায়কদের তোপ দাগেন তিনি। বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আগে কাউন্সিলর নির্বাচনে জিতে আসুন। আমাকে তো জোর করে হারানো হয়েছে। আমি জিতে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলা ভাষায় কথা বললে কিছু রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে বাসিন্দাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে। কেন্দ্রে চোরেদের সরকার চলছে। এমন অসঙ্গতি অন্য রাজ্যেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু টাকা আটকানো হয়নি। বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে।’‌

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *