প্রসেনজিৎ ধর :-দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার কেন্দ্রে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হচ্ছে রথযাত্রার আয়োজন। অন্য দিকে, বিজেপিও বসে নেই।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার নিজেদের জমি আরও পোক্ত করতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। সনাতনী হিন্দুদের খানিকটা সাবধান করে দিলেন এই বলে যে, মুখ্যমন্ত্রী শাস্ত্র মানেন না। যে কারণে তিনি পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, “মমতা চান কালচারাল প্রোগ্রাম। এখানে আবার শাস্ত্র কেন? কীসের পুরোহিত? এই চিন্তাভাবনা ওঁদের রীতি। যে কারণে তিনি মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেন। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন পার্ক সার্কাসে সংহতি মিছিল করেন। এদিকে উলুবেড়িয়াতে রথের পারমিশন করতে থানায় গিয়েছিল কয়েকজন। তাঁদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও নতুন রথযাত্রা হবে না। আর দিঘাতে যেটা হচ্ছে, সেটা রথযাত্রা? বাজনা বাজানো হচ্ছে খালি। রাজীব কুমার, বিনীত গোয়েলদের নিয়ে গেছে দড়ি টানানোর জন্য।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রথ উৎসব করে আসলে হিন্দু সাজার চেষ্টা করছেন, বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার ৷ এদিন তাঁকে দিঘার রথযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ৷ তখনই সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিন্দু সাজার অভিযোগ করেন ৷এর পর তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ৷ সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন সুকান্ত ৷এবারের রথযাত্রার যাবতীয় আকর্ষণ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে ৷ এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কী করবে ? এই নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘আমি হিন্দু ৷ আমি অন্য ধর্মকে সম্মান করি ৷ আমার ধর্মকে সর্বাগ্রে রাখি ৷ আমি আমার ধর্মকে ছোট করে অন্য ধর্মকে সম্মান করতে পারব না ৷ তার জন্য আমাকে যদি কেউ সাম্প্রদায়িক বলে, বলুক ৷ কোনও অসুবিধা নেই ৷’’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal