প্রসেনজিৎ ধর :-কসবা ল’ কলেজের ভিতরে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। গত বুধবারের সেই ঘটনায় অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তারই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে নির্যাতিতার অভিযোগপত্র।তাঁদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হলে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক ৷গত বুধবার রাতে কলেজের মধ্যেই গার্ড রুমে ঢুকিয়ে কলেজেরই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে একজন মনোজিৎ মিশ্র, যিনি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। এখন আলিপুর আদালতে ল’ প্র্যাকটিস করেন। অন্য দুজন জইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়। তারা কলেজেরই বর্তমান পড়ুয়া। এদের ‘জে’, ‘এম’ ও ‘পি’ নামে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শুক্রবারই ধৃতদের আলিপুরে আদালতে তোলা হলে তাদের ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক।কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন |এই ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কসবার ধর্ষণ মামলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা তিন দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট আকারে কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।জানা গেছে, ঘটনার পর নির্যাতিতাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল ইতিমধ্যেই ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানে পাঠানো হবে ফরেন্সিক দল। তারা নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করবে। একই সঙ্গে, সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ল’কলেজের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal