দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী থাকল দিঘা ৷ জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর সৈকত নগরী দিঘায় আজ পালন হল প্রথম রথযাত্রা উৎসব। মন্দির থেকে প্রায় ১ কিমি দূরে মাসির বাড়ি দিঘার জগন্নাথের ৷ বুধবাারই দিঘায় পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তুতি থেকে নিরাপত্তা গতকালই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন তিনি ৷ দুপুর দু’টোয় রথের সামনে বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয় ৷ সোনার ঝাঁটায় রাস্তা ঝাঁট দিয়ে রথযাত্রার সূচনা করেন মমতা ৷ জগন্নাথদেব তাঁর দুই ভাইবোন বলরাম ও সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে আলাদা আলাদা রথে পাড়ি দেয়| দিঘায় প্রথম রথ উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তত্পর ছিল প্রশাসন।দিঘায় রথযাত্রা উপলক্ষে বিশেষভাবে তৈরি ‘মাসির বাড়ি’তে আজ সকালে পৌঁছে জগন্নাথদেবের আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু আরতিতেই নয়, রথযাত্রার মূল মিছিলেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রথের সঙ্গে পায়ে হেঁটে এগিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন ইসকনের একাধিক সন্ন্যাসী ও সংগঠক। রথযাত্রার প্রতি তাঁর এই সরাসরি অংশগ্রহণে মুগ্ধ সাধারণ দর্শনার্থীরা।দুপুর আড়াইটের সময়সূচি মেনেই রথের রশিতে টান পড়ে। শুরু হয় মাহাত্ম্যপূর্ণ যাত্রা। এক ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়েছে রথ। রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়া ভিড় রীতিমতো প্রমাণ করেছে দিঘাবাসীর এবং পর্যটকদের উৎসাহ।ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর আগেই নির্দেশ ছিল — রথযাত্রার সময় রাস্তায় জনসাধারণ যেন না নামেন, পদপিষ্টের আশঙ্কা এড়াতে। সেইমতো রথযাত্রার দু’ধারে ব্যারিকেড করা হয়। মানুষ ব্যারিকেডের বাইরে থেকেই রথের দর্শন করেন। আজ মাসির বাড়ি পৌঁছেছে রথ। প্রথমে বলভদ্র, সুভদ্রা ও সুদর্শনকে রথ থেকে নামিয়ে আনা হয় মাসির বাড়িতে। পরে কীর্তন সহযোগে জগন্নাথদেবকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়।মাসির বাড়ি প্রাঙ্গণে ছিল কীর্তনের ধ্বনি, ঢাকের বাদ্যি আর শঙ্খধ্বনির আবহ। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা এই অনন্য মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আবেগাপ্লুত।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal