নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :- দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় এবার মুখ খুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শশী পাঁজা, কুনাল ঘোষ এবং তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। এদিন মন্ত্রী শশী পাঁজা পরিষ্কার জানান, ‘কসবা কাণ্ডে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে। ধর্ষণ নিয়ে কোনও রাজনীতি হয় না। তাঁকে ন্যায়বিচার দিতে হবে। আমরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছি’। এদিন অপরাজিত বিলের প্রসঙ্গও উঠে আসে শশী পাঁজার বক্তব্যে। তিনি জানান, ‘আমরা এই ধরনের ঘটনায় দোষীদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় তার জন্য অপরাজিতা বিল পাশ করিয়েছি। আবেদন জানাচ্ছি, যাতে এই বিল আইনে পরিণত করা হয়। আমরা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আপোস করি না। কারা করেন সবাই জানে। আমরা অত্যন্ত মর্মাহত’।এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কসবা কাণ্ডে ফুঁসে ওঠেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “কে বা কারা করছে বড় কথা নয়, অভিযুক্তরা কোন দলের তা বড় কথা নয়, এদের চামড়া তুলে দেওয়া উচিত। পুলিশকে অনুরোধ করছি সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুন। এসব জানোয়ারকে ছেড়ে রাখা যায় না, যাবে না।” কসবার নির্যাতিতার পাশে থাকার আশ্বাস শশীর | বিজেপিকে ব্রিজভূষণ-সিপিএমকে তাপসীর কথা মনে করান কুণাল। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ শাখার সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের কথায়, কসবার ঘটনা যে নিন্দনীয় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এর চরম বিরোধিতা করে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করছে দল। কিন্তু তাঁর দাবি, এমন কিছু হলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ‘সফট টার্গেট’ হয়ে যায়। যুবনেতা বলছেন, সর্বত্র প্রচার করা হচ্ছে মূল অভিযুক্ত ওই কলেজের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিল। কিন্তু এমনটা নয়। বিগত কয়েক বছর ধরে ওই কলেজে তৃণমূলের কোনও সক্রিয় ইউনিটই নেই। এমনই দাবি তৃণাঙ্কুরের। মূল অভিযুক্ত যে এক সময়ে তৃণমূলের কোনও এক কমিটিতে ছিলেন সেই কথা তৃণাঙ্কুর স্বীকার করে নিলেও কার্যত কটাক্ষ করে বলেছেন, তাঁদের পক্ষে ভবিষ্যৎ দেখা সম্ভব ছিল না। তাই বুঝতে পারেননি ২০২৫ সালে এসে ওই যুবক এমন ঘৃণ্য কাজ করবে। তাই এই প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, দোষী কোন রাজনৈতিক দল করে, বা সে কোন ধর্মের মানুষ, তা না দেখে অপরাধ দেখেই যেন তার বিচার হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal