দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য বিজেপির দফতরে গিয়ে সদ্য নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বললেন, ‘শুধু আমি না, বিজেপির প্রত্যেক পুরনো কর্মী শমীকবাবুর পাশে আছি। দিলীপ ঘোষের ‘মান’ ভাঙাতে ফোন করেছিলেন শমীক। তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে মঙ্গলবার রাজ্য দফতরে আসেন দিলীপ। তিনি আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মীরা। শুরু হয় স্লোগান দেওয়া। ‘দিলীপ ঘোষ স্বাগতম, বাংলার দামাল ছেলে দিলীপ ঘোষ স্বাগতম’, স্লোগান চলতে থাকে। ফুল, মিষ্টি নিয়ে হাজির হন কর্মীরা। অনুগামীদের হাত তুলে শান্ত করেন দিলীপ। এরপর শমীকও চেয়ারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। নবনির্বাচিত সভাপতির জন্য গেরুয়া উত্তরীয় এবং পদ্ম প্রতীকে মেমেন্টো নিয়ে এসেছিলেন দিলীপ। উপহার তুলে দেন প্রাক্তন সহকর্মীর হাতে। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসেন দিলীপ ঘোষ। দলীয় কার্যালয়ের বাইরে দিলীপবাবু সাংবাদিকদের বলেন, আমি মাননীয় রাজ্য সভাপতি শমীকবাবুর কাছে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সময় চেয়েছিলাম। উনি আমাকে বলেন, মঙ্গলবার ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে চলে আসুন। তাই ওনাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।এরপর দিলীপ ঘোষ বলেন, যে কর্মসূচিতে আমার থাকার কথা সেখানে আমাকে ডাকা হয়। আমি রাজ্যের কোনও পদাধিকারী নই। ফলে আমাকে রাজ্যের সমস্ত বৈঠকে থাকতে হবে এমন কথা নেই। আমাকে দল গাড়ি দিয়েছে। সেই গাড়িতেই আমি দলের কাজ করছি। আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে, পদ দিয়েছে। এর কোনওটাই আমি চাইনি। আমি নিজের জেলা মেদিনীপুরে কাজ করছি। আমাদের জেলাই এগিয়ে আছেন। মাননীয় রাজ্য সভাপতি রাজ্য সফরে বেরোবেন। জেলায় জেলায় তাঁকে ধূমধাম করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আমি বলেছি সেই কর্মসূচি মেদিনীপুর থেকে শুরু করতে। আমি শমীকবাবুকে বলেছি, আপনি যা আদেশ করবেন দলের সমস্ত সাধারণ কর্মীরা লড়াই করতে রাজি আছে।দিন কয়েক আগে দিলীপ ঘোষের দলবদল নিয়ে শমীক বলেছিলেন, “দিলীপ ঘোষ সেলেবল নন।” সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন দিলীপ বলেন, “বাজারে যার দাম থাকে তার সেলের কথা ওঠে। যাদের দাম নেই তাদের কিনবে কে? তারা রাস্তায় পড়ে থাকে। দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। দিলীপ ঘোষ সেলেবেল নয়।” পাশাপাশি নয়া রাজ্য সভাপতির ভূয়সী প্রশংসা করেন দিলীপ। বলেন, “যখন দলে এসেছিলাম তখন শমীকদা আমার সিনিয়র ছিলেন। নতুন-পুরনো সব কর্মীরা মিলেই দলকে এই জায়গায় এনেছে। লড়াই জারি থাকবে। শমীকদার নেতৃত্বেই নবান্নে পরিবর্তন আসবে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal