দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- বুধবার বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট ঘিরে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানও এদিন বনধ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল। বিক্ষোভ মিছিল আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। মিছিল রুখে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মীদের বচসা বাঁধে। উত্তেজনার মধ্যেই সৃজনকে টানা হেঁচড়া করা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনায় তাঁর হাতে চোট লাগে এবং জামা ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ। মিছিলেই অংশ নেওয়া এক মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন।ঘটনাস্থলে যান ডিসি, এসএসডি বিদিশা কলিতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সৃজন সহ ১৯ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর।
সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে নিউটাউনের গৌরাঙ্গ নগরে সিপিএম পার্টি অফিস থেকে আটো স্ট্যান্ড পর্যন্ত সিপিএমের সমর্থকেরা মিছিল করেন। সেখানে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কলকাতায় লেকটাউনের পাশাপাশি বাঙুরেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। লেকটাউনে যশোর রোড অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে বাম সমর্থকদের ধস্তাধস্তি ও বচসা বাধে। যাদবপুর স্টেশনেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর ও ইছাপুরের মধ্যে ২২ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। অন্যদিকে, হাওড়ার ডোমজুড়ে সিপিএম কর্মীরা বাস ও লরি থেকে চালকদের নামানোর চেষ্টা করেন। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ লাঠি উঁচিয়ে সিপিএম কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড় রেল স্টেশনেও বনধের প্রভাব পড়েছে। সিপিএম সমর্থকরা হাওড়া-কাটোয়া আপ লোকাল ট্রেন আটকে রেললাইনে অবরোধ শুরু করেন। সকাল থেকেই হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। পরে রেল পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।এদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে বেরিয়েছেন সকলেই। ট্রেন, বাস, অটোয় পৌঁছেছেন গন্তব্যে। স্কুল-কলেজ-অফিস সর্বত্র উপস্থিতির হার নজরে পড়ার মতো।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal