প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হল প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। তবে সঞ্জয়ের দাবি, সে নির্দোষ। এবার বেকসুর খালাসের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সঞ্জয় রায়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদন জমা পড়ে। তার আবেদন গ্রহণ হবে কি না তা নিয়ে এই আবেদনের শুনানি হবে আগামী বুধবার, ১৬ জুলাই।২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় । প্রথমে কলকাতা পুলিশ এবং পরে সিবিআই তদন্তভার নিলেও আর কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। শেষমেশ সঞ্জয়কেই শিয়ালদহ আদালত দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বারংবার তার ফাঁসির দাবি করেছে আবেদন করেছে সিবিআই। সাধারণ মানুষও একই দাবিতে সরব হয়েছিল। কিন্তু আদালত আরজি করের ঘটনাকে বিরলের থেকে বিরলতম বলে মনে করেনি।জানুয়ারি মাসে সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবনের সাজা দেয় শিয়ালদহ আদালত। সেই থেকে জেলবন্দি তিনি। আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা অবশ্য সঞ্জয়ের ফাঁসি চাননি। বরং তাঁদের দাবি, আরও একাধিকজন জড়িত এই ঘটনায়। তাদের খুঁজে বের করতে সঞ্জয়ের সাহায্য লাগবে তদন্তকারীদের। এখন সেই সঞ্জয়ই নিজের জেলমুক্তি চেয়ে আবেদন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন বারবারই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সঞ্জয় দাবি করেছে, সে নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাতে অবশ্য নিস্তার মেলেনি। ফলে শেষমেশ তার কারাদণ্ডই হয়েছে। যদিও এই বিচারে সন্তুষ্ট নয় অভয়ার পরিবার ও বন্ধুরা। তাদের সকলের দাবি, ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত। নতুন করে বিচারের দাবিও উঠেছে। প্রায় আটমাস জেলে থাকার পর ফের নিজেকে বেকসুর খালাস বলে দাবি করে হাই কোর্টে আবেদন জানাল সঞ্জয়। সূত্রের খবর, পরের সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal