Breaking News

হিমন্ত বিশ্বশর্মার ‘বাংলা ভাষা’ তীরে উত্তাল রাজনীতি, তৃণমূলের তীব্র কটাক্ষ!

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- ‘মাতৃভাষা বাংলা লিখলেই বোঝা যাবে অসমে কত বিদেশি আছে’। সম্প্রতি বাংলা ভাষা এবং বাঙালি সম্পর্কে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ তৃণমূলের৷ ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক এই রাজ্যের বাসিন্দারা। এবার বাংলা ভাষা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক আরও বাড়ালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের উপর হেনস্থার ঘটনা বাড়ছে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে। এই ইস্যুতে বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচি করছে তৃণমূল। সংসদীয় অধিবেশনে এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাবে তৃণমূল।গত সপ্তাহে কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসী নামে এক ব্যক্তির কাছে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের নোটিশ পৌঁছয়। তাতে বলা হয়, তিনি যে বাংলাদেশি নন তা প্রমাণ করতে হবে। এর পরই শোরগোল পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাকে কী করে NRC নোটিশ পাঠাতে পারে অসম সরকার? ওদিকে উত্তমকুমারবাবু দাবি করেন, তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ডে কোচবিহারের ঠিকানা রয়েছে। তিনি জীবনে কোচবিহারের বাইরে কোথাও যাননি। স্থানীয়রা জানান, বংশপরম্পরায় কোচবিহারের বাসিন্দা তাঁরা। এরই মধ্যে ব্রজবাসীর বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের মামলা খারিজের নির্দেশ দেয় অসম সরকার।সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এই ঘটনা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, এটা একটা আইনি প্রক্রিয়া। উনি যে রাজবংশী তা ওনার আইনজীবীরা আদালতকে জানাননি। উনি অসমেরই নাগরিক। অস্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেন। ওনার বিরুদ্ধে মামলা সম্ভবত এতদিনে খারিজ হয়ে গিয়েছে।এখানেই উঠছে প্রশ্ন, উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে দাবি করলে কেন তাঁকে কাস্ট সার্টিফিকেট দিল না রাজ্য সরকার? কেন গত ৮ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে টুইট করতেই তড়িঘড়ি করে তাঁর কাস্ট সার্টিফিকেট জারি করা হল? কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তো এই সমস্যার মুখে পড়তে হত না উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে।তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি, ‘বাঙালি’ আর ‘বাংলাদেশি’-র মধ্যে পার্থক্যটাই মুছে দিতে চাইছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে, ভারতবর্ষের একটি রাজ্যের মানুষ জনপ্রতিনিধিদের দ্বারাই এমন ঘৃণা এবং বিদেশি তকমা পেয়ে বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন। এই পুরো ঘটনাই বিজেপির সেই সুপরিচিত এজেন্ডার অংশ, যেখানে বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দেশছাড়া করে দেওয়া, এবং শেষে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হবে।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *