Breaking News

আইআইএম জোকায় ধর্ষণের অভিযোগে নতুন মোড়! ‘ধর্ষণের কিছু হয়নি’ বিস্ফোরক বয়ান নির্যাতিতার বাবার!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-IIM জোকার ছাত্রদের হস্টেলে বহিরাগত তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় নয়া মোড়। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ খোদ অভিযোগকারিনীর বিরুদ্ধে, এমনই খবর সংবাবমাধ্যম সূত্রে। ওদিকে অভিযোগকারিনীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার রাতের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে, আইআইএম জোকার ছাত্রদের হোস্টেলে এক বহিরাগত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় একজন ছাত্রকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই জটিলতা বাড়ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী নিজেই দাবি করেন, তিনি কাউন্সেলিংয়ের উদ্দেশে হস্টেলে গিয়েছিলেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কর্নাটকের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু সেখানেই ঘটে অঘটন।অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ছাত্র তাঁকে কোনও খাতায় সই না করিয়েই হস্টেলের ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে পিৎজা ও ঠান্ডা পানীয় খাওয়ানো হয় তরুণীকে। অভিযোগ, ঠান্ডা পানীয়তে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। সংজ্ঞা ফিরে আসার পর, তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন।রাতেই তরুণী ঠাকুরপুকুর থানায় পৌঁছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁকে পাঠায় হরিদেবপুর থানায়, কারণ ঘটনাস্থল সেই থানার আওতাভুক্ত। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে এবং রাতেই অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে।শনিবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে নির্যাতিতার বাবা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টার কিছু পরে তিনি ফোন পান। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘‘আপনার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, অটো থেকে পড়ে গিয়েছে। এখন এসএসকেএম হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি আছে।’’ পরে তিনি জানতে পারেন, হরিদেবপুর থানার পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে এনেছে।তাঁর আরও দাবি, বাড়ি ফেরার পরে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে বলেছে, কোনও ধর্ষণ হয়নি। যে ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে কোনও সম্পর্কও নেই। পুলিশ কোথা থেকে মেয়েকে পেয়েছে, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি।’’ একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “মেয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকে ঘুমোচ্ছে, ফলে স্পষ্ট করে সব কথা হয়নি।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *