প্রসেনজিৎ ধর :-মালদহে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন চার জন। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাজীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মাইনুল শেখ। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এ ছাড়াও মাইনুলের ভাই সইদুল শেখ এবং তাঁদের দুই ঘনিষ্ঠ ইমারত শেখ ও শহিদ শেখকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের জটিলতা এবং জমি বিবাদের জেরে এই খুন। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ শহরের অদূরে ইংলিশবাজারের লক্ষ্মীপুরে ঘরে আটকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী তথা জমি ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদকে। নিহতের বাড়িও মালদহের মানিকচকের গোপালপুর এলাকায়। ওই রাতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী শিউলি খাতুন-সহ কয়েকজন এক জন্মদিনের পার্টিতে যোগ নিতে ইংলিশবাজার থানার লক্ষ্মীপুর এলাকায় যান। সেখানেই তাঁকে ঘরে আটকে মাইনুল শেখের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী-সহ তিনজন গুরুতর আহত হন। তাঁরা বর্তমানে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, আজাদ এবং মাইনুল একসঙ্গেই জমির ব্যবসা করতেন। জমিজমার ব্যবসা নিয়ে বিবাদ ছিল দু’জনের। সেই বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।শনিবার সকালে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এরপর তাদের মালদা আদালতে পেশ করে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। তদন্তে আরও কী তথ্য সামনে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত আবুল কালাম আজাদ এলাকায় তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি জমি ব্যবসার সূত্রে তাঁর প্রভাব বাড়ছিল। অপরদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল শেখও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় প্রভাব বজায় রেখেছেন এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষে শেষমেশ মৃত্যু হল আবুলের। ঘটনায় এলাকায় শোক এবং চাঞ্চল্য দু’টিই ছড়িয়েছে সমানভাবে। উল্লেখ্য, তৃণমূল প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে এই ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal