প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- একদিকে টানা বর্ষণ, অন্যদিকে ডিভিসি-র দফায় দফায় জলছাড়া। জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় হুগলি, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ার একাধিক নিচু এলাকা। আর এই পরিস্থিতিতে ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |এই পরিস্থিতে আজ, মঙ্গলবার নবান্নে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, ডিভিসি জুন মাসের ১৮ তারিখ থেকে লাগাতার জল ছাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ২৭ লক্ষ হাজার কিউসেক মিটার জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসি কারও কথা শুনছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে বারবার চিঠি লিখেছি। তারপরও কোনও কাজ হচ্ছে না। না জানিয়ে জল ছাড়ছে ডিভিসি।” তাঁর আরও অভিযোগ অসম বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্য পেলেও বাংলা সেই বঞ্চিতই।মমতার অভিযোগ, “১৪ বছর ধরে লড়ছি, বারবার টিম গিয়েছে। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি, নীতি আয়োগের বৈঠকেও বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অসমে বন্যার টাকা মেলে, বাংলায় শুধু বন্যা মেলে! ভোটের অপর কাজ জনগণের সেবা করা। সেবা না করে জনগণকে পরিষেবা না দিয়ে নিজেদের সেবা করছে।”কটাক্ষের সুরে এও বলেন, “জল ছেড়ে দিয়ে মানুষকে ভাসিয়ে দেয়, কিন্তু একটা কাপড় কেনার টাকাও দেয় না। সবটা আমাদেরকেই করতে হয়।” ডিভিসির সূত্র জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধারে জলস্তর বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছে যাওয়ায় জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয়েছে ৩৬ হাজার কিউসেক, মাইথন থেকে আরও ৯ হাজার কিউসেক জল। এই জল প্রবেশ করছে দুর্গাপুর ব্যারাজ হয়ে দামোদর নদের মাধ্যমে হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal