Breaking News

সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ ‘রাজ্যে কার্যকর হবে না’, জানিয়ে দিলেন মমতা!এটি খাদ্যাভাসে হস্তক্ষেপ বলছেন মমতা

নিজস্ব সংবাদদাতা :- সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় ফতোয়া মানবে না রাজ্য সরকার! মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ নয়। সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ওবেসিটি বা স্থূলতা ৷ বর্তমানে পুরো পৃথিবীতে বিপজ্জনক আকার নিয়েছে ৷ ভারতও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ সমীক্ষা বলছে, ২০২১ সালে ভারতে ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছিলেন প্রায় ১৮ কোটি মানুষ ৷ ৩০ বছরের মধ্যে সংখ্যাটি প্রায় ৪৫ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওবেসিটি অনেক প্রাণঘাতী রোগের উৎস ৷ এতে হাইপারটেনশন, কোলেস্টরেল বৃদ্ধি, ব্লাড সুগার থেকে শুরু করে হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায় ৷ সেই কারণেই ওবেসিটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সিঙাড়া, জিলিপি, গুলাবজামুন, বড়াপাও, পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপসের মতো ফ্যাট ও সুগার নির্ভর খাবারে কত পরিমাণ তেল কিংবা শর্করা রয়েছে, তার উল্লেখ করতে হবে ৷ এ থেকে মানবদেহের কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়েও ক্রেতাদের সতর্ক করতে হবে ৷ যদিও মানুষের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় বোর্ডের ‘ফতোয়া’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় মানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল ৷ মঙ্গলবার এনিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টিকে ‘খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন ৷নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, এখন থেকে নাকি সিঙাড়া-জিলিপি খাওয়া যাবে না ৷ এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও বিজ্ঞপ্তি নয় ৷ আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না ৷ এই বিজ্ঞপ্তিও কার্যকর করব না ৷ আমার মনে হয়, সিঙাড়া-জিলিপি অন্যান্য রাজ্যেও জনপ্রিয় ৷ সেসব রাজ্যের মানুষরাও এই খাবারগুলি ভালোবাসেন ৷ মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা সঠিক কাজ নয় ৷”যদিও পরে কেন্দ্রের তরফে ফ্যাক্ট চেক করে জানানো হয়, জিলিপি-শিঙাড়ার মতো খাবার নিষিদ্ধ করার কোনও বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্র জারি করেনি।এই ধরনের খাবার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ ‘লেবেল’ লাগানোর কথাও বলেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে শুধু কিছু কিছু সতর্কীকরণ পোস্টার এবং ব্যানারে লাগানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে লুকনো শর্করা বা ফ্যাট সম্পর্কে সাধারণ নাগরিককে সতর্ক করা যায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *