প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শুক্রবার দুর্গাপুরের নির্বাচনী জনসভায় কালী আর দুর্গার নাম নিয়ে ভাষণ শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| বাংলার মানুষের মন জয় করার এই প্রয়াস যে আসলে নির্বাচনী কৌশল, সেটা একপ্রকার স্পষ্ট। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূল সাংসদ মাহুয়া মৈত্র | তিনি লেখেন, “বাংলার ভোটারদের মন জয় করতে মা কালীকে স্মরণ একটু দেরিতে করলেন প্রধানমন্ত্রী। মা কালী ধোকলা খান না। কোনওদিন খাবেন না।”কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, “এখন মা কালীকে স্মরণ করে বাংলার ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা একটু দেরিতেই হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর। মা কালী ধোকলা খান না, কোনওদিনও খাবেন না।” ঘটনা হল, ধোকলা গুজরাতের একটি জনপ্রিয় খাবার, যা মোদীর রাজ্যও বটে।
প্রধানমন্ত্রীর “জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা” স্লোগানকে তাঁর চিরাচরিত “জয় শ্রী রাম” ধ্বনির থেকে আলাদা মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।এর আগে নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায় মাছের বাজার বন্ধের ভিডিও শেয়ার করে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল মহুয়াকে। তিনি X হ্যান্ডলে লেখেন, “নয়াদিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায় হুমকি দিচ্ছে বিজেপির গুন্ডারা। গত ৬০ বছরে এমন দৃশ্য দেখেননি এলাকার বাঙালিরা।” এই পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন মহুয়া। সেখানেও লেখা ছিল, চিত্তরঞ্জন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় গত ১০ দিন ধরে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। তিনি এই ইস্যুতে আরও একটি পোস্ট করেন। লেখেন, “যে ব্যবসায়ীরা মন্দির তৈরি করেছে, তাঁদেরই দোকান বন্ধ করতে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপির গুন্ডারা। তার ভিডিও ছড়িয়েও পড়েছ নেটদুনিয়ায়। কিন্তু এখনও কেউ গ্রেফতার হল না কেন? দিল্লি পুলিশ কই? নাকি আমাদের এখন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ধোকলা খেতে হবে শুধু?”সেবার অবশ্য বিজেপি দাবি করেছিল মহুয়ার শেয়ার করা ভিডিওটি ভুয়ো। তবে এবার এখনও কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের খোঁচার পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া গেরুয়া শিবিরের তরফে পাওয়া যায়নি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal